আদিকাল হতে অদ্যবদি পর্যন্ত প্রচন্ড গরমে লোভনীয় তালের বিচি মানুষের নিকট এটি অমৃত সুধার মত। পানসে রংয়ের নরম গোল আটি মুখে দিলেই যেন কোথায় মিলিয়ে যায়। ছোট বড় সবার কাছে এর যে স্বাধ, অনুভূত হয় তাতে বিভোর হয়ে অনেক তাল বিচি খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তাইতো গরমের শুরতেই ৫ টাকায় তালের বিচি বিক্রির হিরিক পড়েছে এবং এর চাহিদাও মানুষের কাছে ব্যাপক।
বিক্রেতা ও গ্রাহক সূত্র জানায়, গ্রামের প্রায় জায়গায় তাল গাছ রয়েছে। এটির প্রতিটি গাছ হতে নি¤েœ ২ শ হতে ১ হাজার পর্যন্ত তাল জন্ম নেয়। পূর্বেকার সময়ে মানুষ এই তালের রস দিয়ে বিভিন্ন রকমের তালের পিঠাসহ নানা বাহারী খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতো। এটি এখনও হয়। তবে পাকা তাল পেকে তালের রসের খাদ্য সামগ্রীর চাইতে কাঁচা গুটি তাল মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয় একটি ফলে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে এই তাল এখনও ব্যাপক পরিসরে বাজারে আসতে শুরু করেনি। মাস খানিকের মধ্যেই এই কাঁচা তাল গুটি বিক্রির হিরিক পড়ে যাবে।
তাল বিক্রেতা নালিতাবাড়ী উপজেলার জাঙ্গালিয়াকান্দা গ্রামের শহীদ উদ্দিন বলেন, আমি পূর্ব হতেই অনেক গাছ চুক্তি করে কিনে রেখেছি। গাছ বুঝে প্রতি ৫,৭,৮শ টাকা হাজার দরে কিনে তা গাছ হতে পেরে বাজারে বসে নিজে দা দিয়ে কুপিয়ে মুখ ছাড়িয়ে ৫ টাকা দরে মানুষের নিকট বিক্রি করি। সারাদিনে তাল কেটে ১/২শ তাল বিক্রি করা যায়। প্রতিটি তালের গুটিতে ২/৩টি করে গুটি থাকে।
তাল ক্রেতা রবিউল মাষ্টার বলেন, আমি পরিবার ও বাচ্চাদের জন্য প্রতিটি ৫ টাকা করে তাল কিনে নিয়ে যাচ্ছি। অনেকটি কিনেছি। এটি সবাই পছন্দ করে।