রাজশাহীর বাঘায় ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে সাতটি পদে মোট ৭২৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে সাত জন করে মোট ৫১৮ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চাসহ ৬টি উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জুন) উপজেলার বাজুবাঘা, বেলগাছী, চন্ডিপুরর, বাঘা মডেল, জোতরাঘব, বাগসায়েস্তা, নারায়নপুর, ছাতারী, চশরাজাপুর, দাদপুর, পলাশীফতেপুর, চাঁদপুর, খানপুর, কালিদাসখালী,পাকুড়িয়া, জোতনসী, কাদিরপুর, চৌমাদিয়া, কেশবপুর, মরকুটি, মরগঞ্জ, হরিরামপুর, বিনোদপুর, হাবাসপুর, আটঘরি, মনিগ্রাম, বলিহার, ধন্দহ অমরপুর, দীঘা, খাগড়বাড়িয়া, বাউসা, আড়পাড়া, হরিনা, তেঁতুলিয়া, পীরগাছা, খোর্দ্দবাউসা, আড়ানী, পাঁচপাড়া, রস্তমপুর, কুশাবাড়িয়া, বারখাদিয়া, ঝিনা, চকআহম্মদপুর, চকআহম্মদপুর, মুর্শিদপরু, খায়েরহাট, চরকালিদাসখালী, লক্ষ্মীনগর, পশ্চিমচরকালিদাসখালী, সুলতানপুর, গোরাঙ্গপুর, আলাইপুর, হেলালপুর, মহদীপুর, আতারপাড়া, তুলশীপুর, গঙ্গারামপুর, ফতেপুরবাউসা, সোনাদহ, বেড়েরবাড়ী জোতজয়রাম, চক ছাতারী, পুর্বচশরাজাপুর, চকএনায়েতপুর, গোচর, তেপুকুরিয়া, চাকিপাড়া, চকবাউসা, আশরাফপুরসহ ৭৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ৭টি পদে সাতজন করে নির্বাচিত করা হয়।
সরেজমিনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে ক্ষুদে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করতে দেখা যায়। সকল শিক্ষকদের সহযোগীতায় নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খাতুন জানান, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনানুযায়ী ক্ষুদে ভোটারদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদে ভোটার আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অঙ্কন দাস, জবা সাহা, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিশা ফেরদৌস, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অদিপা সরকার জানায়, আব্বু-আম্মুকে ভোট দিতে দেখেছি, কিন্তু আমরা ভোট দিতে পারিনা। পরিশ্রমের ফলে আমার প্রার্থী বিজয় হয়েছে। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান জানান, এবছর উপজেলায় ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২৭৫। মোট ৭২৫ জন প্রার্থীদের মধ্যে ৫১৮ জন নির্বাচিত হয়। এদিকে কয়েকটি নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন করে হয়েছে বলে জানান তিনি।