দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চালের দাম স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুইদিন ব্যাপী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুলবাড়ীর তিনটি অটোরাইস মিলে মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গত বুধবার (১ জুন) ও গত মঙ্গলবার (৩১ মে) দুই ব্যাপী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ধান ও চাল মজুত বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীমা আক্তার জাহান পপি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কাজিম উদ্দিনসহ ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ও অনসার সদস্যরা।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের খাদ্যপণ্য মজুত বিরোধী অভিযানেও স্থানীয় বাজারে কমছে না চালের দাম।
কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে এই অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে অটোরাইস মিল, আড়ত ও পাইকার ব্যবসায়ীদের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধান ও চাল মজুত রাখা, দোকানে নি¤œমানের চাল রাখা, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না থাকা, ক্রয়-বিক্রয় রসিদ না থাকাসহ নানা অপরাধে বিভিন্ন দোকানকে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ফুলবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে কোনো অনিয়ম পায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান অব্যাহত রেখেছেন জেলা জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনি।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারে চাল বেচাকেনা চলছে ৩৮ থেকে ৪১ টাকার মোটা চাল বিক্রি হয়েছে চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে। ৫৩ থেকে ৫৫ টাকার মিনিকেট চাল মধ্যে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে ৫২ থেকে ৫৪ টাকার সম্পা কাটারী বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ কেজি দরে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চিকন চালের। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়িরা।
পৌর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতার জয় প্রকাশ গুপ্ত ও আকবর আলী বলেন, বিভিন্ন অটোরাইস মিলসহ চালের আড়ত থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারে তাদেরকেও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, বর্তমানে উপজেলার হাটবাজার সর্বত্রই চড়াদামে ধান বেচাকেনা চলছে। চড়াদামে ধান কিনতে হচ্ছে বলেই চালও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এর কারণে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কেউ যাতে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করা এবং অবৈধ মজুত করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।