'চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প'- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার (৪ জুন) দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে 'জাতীয় চা দিবস'।
প্রসঙ্গত: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট সুত্র জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে গত বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়।
চা বোর্ড সুত্র জানায়, আগামীকাল জাতীয় চা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটসহ ঢাকায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
চা বোর্ড সুত্র জানায়, ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ১৪.৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি
সুত্র জানায়, ১৮৫৪ সালে সিলেটে প্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ১৮৫৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন শুরু করে। আর চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে।