অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলী দিনমজুরের ছেলে। সংসারের হাল ধরবে বলে সেই স্বপ্ন নিয়েই পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিল। লেখাপড়া শেষে ভাল চাকুরী করবে সে। এমন ভাবনা নিয়েই তার সব প্রস্তুতি চলছিলো। পড়াশোনা শেষ করে হাল ধরবে পরিবারের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশোনার অর্থের যোগানদাতা বাবাকে আর দিনমজুরের কাজ করতে দিবেনা, হয়তো এমন কতইনা স্বপ্ন ছিল তার মনে। কিন্তু স্বপ্নগুলো আজ অধরা হওয়ার পথে। হঠাৎ ভাগ্যাকাশে কালোমেঘের ঘনঘটা।
তার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলাধীন, টেবুনিয়া থেকে চাটমোহর বিশ্বরোডে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন ফিরোজ। তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার কোন পরির্বতন না হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া হয়। টিকিৎসকরা জানান, তার মাজা থেকে পা পর্যন্ত অবস হয়ে গেছে।
ঢাকাতেও অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ২৮ শে মে ভারতের (ওহফরধ) কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ক্রমেই তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার ৬ জুন জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করা হয়। তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস জানান, বর্তমানে ফিরোজ ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতালে নিউরো সার্জন বিভাগের ডাক্তার আশীষ কুমার ভুট্্রাচার্যের চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ অপারেশনে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
দিনমজুর বাবার পক্ষে এতো টাকা জোগান দিয়ে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছে সন্তান। টাকার জোগান নেই বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। এঅবস্থায় ফিরোজের পরিবার ও তাঁর বন্ধুরা সবার কাছে মানবিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সকলের একটু একটু সাহায্য ও সহানুভূতিতে পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচতে পারে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ।
এক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা প্রয়োজন। বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিগণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো সু-চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে ফিরোজ। ফিরে আসতে পারে স্বাভাবিক জিবনে। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলী। সে নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া নতুনপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এবিষয়ে বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিক আলী মিষ্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফিরোজকে পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা করতে এলাকার কিছু মানুষ সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। সকলের সহযোগীতায় যেন ফিরোজ আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে।
ফিরোজ আলীকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ০১৭১৭৬২৫৮২৭ (বিকাশ/ রকেট) যোগাযোগ-০১৭৪৩৪০৯৯১১ ।