উৎপাদন বাড়াতে চা চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে মৌলভীবাজারে। চলতি অর্থবছরে তিনশো হেক্টর পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে চায়ের নতুন চারা লাগানো হয়েছে। চা উৎপাদন বাড়াতে সরকার উৎসাহিত করায় বাগান মালিকরা তাদের অনাবাদি জমিতে নতুন চারা রোপণ শুরু করেছেন। আর চা রফতানি বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে চা-বোর্ড। চায়ের রাজ্যে দিগন্ত বিস্তৃত বাগান। চা'র রাজধানী মৌলভীবাজারে বাড়ছে বাগানের আয়তন। চা উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করছে সরকার। এজন্য বাগান মালিকরাও তাদের অনাবাদি জমিতে নতুন চারা রোপণ শুরু করেছেন। চা-বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলার পাহাড়-টিলায় গত তিন বছরে নতুন করে এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে চা আবাদ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ৪০ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদিত হবে। আর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো সাড়ে তিন থেকে চার শতাংশের বেশি আবাদ করছেন। শ্রীমঙ্গল সিলেট ব্রাঞ্চ বাংলাদেশ টি-এসোসিয়েশন চেয়ারম্যানের জিএম শিবলী বলেন, বর্তমানে আমরা পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও রোদ পেয়েছি। আবহাওয়া যদি এমনই অনুকূলে থাকে তাহলে আমরা রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন করতে পারবো। চা আবাদ ও সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করছে চা বোর্ড। মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশ চা-বোর্ডের প্রকল্প ইউনিট পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক বলেন, মনিটরিং ও ভর্তুকি মূল্যের সার এ ছাড়া চা শিল্পের দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে। যার ফলে উৎপাদনের পাশাপাশি চা’য়ের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ চা-বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।