বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড হয়েছে। পরে কণ্যার বাবাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। এ সময় বরসহ বরের পিতা ও কাজী পালিয়ে যায়। দন্ডিতকে মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কদমতলা গ্রামের শাহ আলম মুন্সির বাড়ীতে তার নাতনী তানিয়া আক্তার (১৬) কে উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের মোঃ হারুনের পুত্র মোঃ বাদলের সাথে বিয়ের আয়োজন করে। এ সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ঐ বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় বরসহ বরের পিতা ও বিয়ের কাজী পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজিষ্ট্রেট মোঃ নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, কিশোরী কণ্যাকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী কণ্যার পিতা আবুল বারিককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। দন্ডিত বারিকের বাড়ী খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার তেতুলতলা মহেশ্বরীপুর গ্রামে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন জানান, বাল্যবিয়ের ঘটনায় মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বারিককে মঙ্গলবার বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।