বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। শুক্রবার বিকালে সে পানি বিপদ সীমার ১৯ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জানা গেছে, সারিয়াকান্দি চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কাজলা, হাটশেরপুর, সদরের আংশিক, চন্দনবাইশা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ও কামালপুর ইউনিয়নের নিঁচু এলাকায় যমুনা নদীর বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নিচু এলাকার প্রায় ৬ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। হাটবাড়ী, মানিকদাইড় চরে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে যমুনা নদীতে ব্যপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৪ দিনের ভাঙ্গনে অর্ধ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পরেছে। চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা বলেন, শিমুলতাইড়, বহুলাডাঙ্গা, ফাজিলপুর, হাটবাড়ী, সুজালেরপাড়া চর গ্রামের বন্যার পানিতে প্রায় ২ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। এছাড়াও শত শত হেক্টর জমি পাট, আউষ, কাউন, চিনা বাদাম, তিল ও বিভিন্ন রকমের শাক-সব্জীর জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান জানান, উল্ল্যাডাঙ্গা, কুমারপাড়া, ধলিরকান্দি, বয়রাকান্দি, মথুরপাড়ায় বন্যার পানি ঢুকে কমপক্ষে হাজারের বেশি মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। বোহাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান জানান, এই ইউনিয়নের ৭টি চর গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ছাড়াও সদরের আংশিক, কাজলা, কুতুবপুর ও কামালপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকার কমপক্ষে দেড় হাজারের বেশি মানুষের ঘর-দরজায় বন্যার পানি ঢুকে পরেছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এখনো বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে এমন খবর আমরা পাইনি। তবে বন্যা নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়াও পানি বন্দি লোকজনদের সরিয়ে নিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার তৎপরতায় নেমে পরবো।