একমাত্র ছেলের অব্যাহত নির্যাতনের পরেও স্থানীয়দের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বিধবা বৃদ্ধা মা ধবলী বিশ্বাস (৭০)। তবে মাকে নির্যাতন করায় ছেলে সমীর বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দরা। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগড়া গ্রামের।
সোমবার সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত শুকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী বৃদ্ধা ধবলী বিশ্বাসকে কারণে অকারণে তার একমাত্র ছেলে সমীর বিশ্বাস মারধর করে আসছিলো। বৃদ্ধা ধবলী বিশ্বাস বলেন, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে তার স্বামী মারা যায়। এরপর অভাবের সংসারে একমাত্র ছেলে সমীরকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। তিনি আরও বলেন, এত কষ্ট করে যে ছেলেকে মানুষ করে বিয়ে করিয়েছি। সেই একমাত্র ছেলে তার স্ত্রীর কথায় প্রায়ই আমাকে মারধর করে। বৃদ্ধ বয়সে এ অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিনা। উপায়অন্তুর না পেয়ে রোববার বিকেলে মারধরের বিষটি বড়মগড়া বাজার কমিটির কাছে জানিয়েছি।
বাজার কমিটির সভাপতি সুনির্মল জয়ধর বলেন, অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাসের কাছে তার বৃদ্ধ মাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে বাজার কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমীরের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান (ভ্যান-রিকসা গ্যারেজ) বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিত শিকারী বলেন, বৃদ্ধা ধবলী বিশ্বাস তাকে মারধরের বিষয়টি আমাকে জানানোর পর আমি তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাই। বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল দাস বলেন, বৃদ্ধা ধবলী বিশ্বাসের কথাশুনে তাকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম। কিন্তু সে এত নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্বেও নিজের একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাসের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।