উন্নয়নশীল ভারী শিল্প নগরী মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা। এই উপজেলায় মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে যেন উজ্জ্বল বাত্তিঘর হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ- টেকনোলজি (জিস্ট) পলিটেকনিক। এটি গজারিয়া উপজেলা সহ মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রথম বে-সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। পলিটেকনিক টি উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন অবস্থিত।
স্থানীয় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ- টেকনোলজি (জিস্ট) পলিটেকনিক টি গজারিয়া উপজেলা তো বটেই আশপাশে প্রায় সব কয়টি উপজেলাতেও মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়নে সুদূর প্রসারি ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মামুন শরিফ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে বলেন উন্নয়নশীল বাংলাদেশে ক্রমেই শিল্পের বিকাশ ঘটছে। ফলে দেশে বিভিন্ন শ্রেনীর শিল্প কারখানা ও সেই সাথে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘরে উঠছে। চলমান সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরে বাড়ছে দক্ষ কারিগরি জনশক্তির চাহিদা। গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ- টেকনোলজি (জিস্ট) পলিটেকনিক টি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে। তিনি আশার আলো নিয়ে বলেন এই চাহিদা মিটাতে গুণগত শিক্ষা বিস্তারে আমরা অদম্য ও বদ্ধপরিকর। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অদূর ভবিষৎতে দেশ ও জাতী গঠনে প্রয়াস রাখবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ইতিমধ্যেই গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ- টেকনোলজি (জিস্ট) পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়টি বিষয়ের উপর প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষা প্রদান চলছে। প্রকৌশল বিদ্যার বিষয় গুলো হলো সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ডিজাইন এ- প্যার্টান মেকিং।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ইন্সটাক্টর (কম্পিউটার বিভাগ) ইঞ্জি মোঃ আল - কামা বলেন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ- টেকনোলজি রাজধানি ঢাকার অদূরে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে অত্যান্ত সুসজ্জিত পরিবেশ আর মনোরম ক্লাসরুম। সেই সাথে ভাড়ী যন্ত্রপাতি সমেত প্র্যাকট্রিক্যাল ল্যাব সম্বলিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত ও গুণগত শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম সেমিষ্টারে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস চলছে। এই বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে যা চলবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত