নোয়াখালী বেগমগঞ্জ, উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে অবস্থিত চৌমুহনী রেলস্টেশন। প্রায় ৮-১০ একর জায়গা নিয়ে এর অবস্থান। ইতমধ্যে রেলের অনেক সম্পত্তি দখলদারদের কবলে রয়েছে। স্টেশনের পাশে অনেক মার্কেট রেলওয়ের সম্পত্তির উপর নির্মিত। পূর্ব পাশে ইসলাম মার্কেটেরও অধিকাংশ জায়গা রেলওয়ের। কেউ কেউ রেলওয়ের ভূ-সম্পতি বিভাগ থেকে কিছু ভুমি বাৎসরিক খাজনা পরিশোধ করার নিমিত্তে লিজ আনে, আবার অনেকেই রেলের সম্পদ জবর দখল করে দোকান পাঠ নির্মাণ করে ভোগ দখল করে যাচ্ছে। সুত্র জানায় ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা, জি আর পি পুলিশ এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করে থাকে। বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় অনেকেই জানায় রেলগেটের পূর্ব পাশ থেকে দক্ষিণ দিকে রাস্তার উপরে প্রায় ৫০ টি ঘর অবৈধভাবে স্থাপন করে মাসিক টাকা আদায় করে সংশ্লিষ্টরা। গত রমজানে চৌমুহনী ইসলাম মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই সুযোগে অনেকে আর সিসি পিলার দিয়ে ভবন করার উৎসবে মেতে উঠেছে। যাহা রেল ওয়ের আইনে সম্পূর্ণ বেআইনি। সূত্র আরো জানায় রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের আসে পাশে ঘুন্টিঘর নির্মাণ করে স্টেশন মাস্টার জি আর পি পুলিশ অর্থ আদায় করে থাকে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কল্পে অভিযান চালানোর কথা সুনলে অবৈধ দখলদারদের স্টেশন থেকে অবহিত করলে তারা ঘুমটিঘর অন্যত্র সরিয়ে রাখে। অভিযান পরবর্তি তারা স্ব-স্ব জায়গায়
আবার ঘরগুলো বসিয়ে দেয়। গত রোববার ও সোমবার চৌমুহনতে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলাকালে ও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই রেলের জায়গা দখল মুক্ত করতে সংশিলষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয়রা।