যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইউপি সদস্যর বাবা মানিক হাওলাদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলো হামলাকারী জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামের মৃত আনোয়ার রাঢ়ীর ছেলে রাসেল রাঢ়ী, আরিফুল ইসলাম রাশেদ, রাজিব রাঢ়ী, মাসুদ রাঢ়ী, একই গ্রামের রশিদ তালুকদারের ছেলে করিম তালুকদার, মিলন তালুকদার, ভাষাই সিকদারের ছেলে আনোয়ার সিকদার, জামাল হাওলাদারের ছেলে রবিন হাওলাদারসহ ১৩ জন। গত ১৯ জুন আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে মামলার এজাহারের জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের সাথে বালু ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আসামীদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন বিকেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শরিফাবাদ ভেরিরপাড় এলাকায় বসে ইউপি সদস্যকে হত্যার উদেশ্যে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে আসামি রাসেল রাঢ়ী ও তার সহযোগীরা।
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন হাওলাদার সোমবার দুপুরে অভিযোগ করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি রাসেল রাঢ়ী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। সে অধিকাংশ সময় অফিসে না গিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- করে যাচ্ছেন। গত কয়েক মাস পূর্বে পল্লী বিদ্যুতের গৌরনদী জোনাল অফিসের ডিজিএমের উপর হামলা চালিয়েছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।