চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কয়দিনের লাগাতার ভারি বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে উপজেলার আওতাধীন লক্ষাধীক লোক পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। পানি বন্ধী লোকজনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া পরিবারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বর্ষনের ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে নিন্ম অঞ্চলের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ফরহাদাবাদ,ধলই মির্জাপুর,ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দ্দন, গড়দুয়ারা, মেখল, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর বুড়িশ্চর ও হাটহাজারী পৌরসভারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বিস্তীর্ণ এসব এলাকায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মৌমুসী ফসল ও খামার-পুকুরের মাছ, মৎস্য খামার এবং গ্রামীণ ও মহাসড়কসহ প্রায় ২০/৩০ টির মতো অভ্যন্তরীণ সড়ক। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়িঘর ও যাতায়তে সড়কের উপর পানি থাকায় বেশি বিপাকে পড়েছেন লোকজন। উপজেলার হাজী ইউসুফ সড়ক, নূর আহাম্মদ সড়ক, সরকারহাট- পেস্কারহাট সড়ক, গুমানমর্দ্দন ডিসি সড়ক, ফতেপুর - মেহেরনেগা সড়ক, ফতেয়াবাদ - মার্দাশা সড়ক, চৌধুরীহাট- মার্দাশা সড়ক, ধলই - গুমানমর্দ্দন সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট ও বড়দীঘির পাড় এলাকায় মহাসড়কের অংশ বিশেষ ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। মহাসগকে বন্যার পানিতে বড়দীঘির পাড়ে লোকজনকে জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে।
কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি নিস্কাষনের সরকারি ছরা ও পানি চলাচলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করার কারণে পৌর এলাকার কামাল পাড়া, ফটিকা, শাহজালাল পাড়া, আজিমপাড়া, পূর্ব দেওয়াননগর, উত্তর ও দক্ষিণ মীরেরখীল, পূর্ব আলমপূর, শায়েস্তা খাঁন পাড়া প্রভৃতি এলাকার বাড়ি ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ঘরে পানি ডুকে পড়ায় রান্নার কাজে ব্যাঘত ঘটছে। পৌরসভার সুন্দরীছরার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড ও মীর রোড ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার কিছু ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ এলাকায় মহাড়কের পাশে অবৈধভাবে ভরাটকৃত জায়গা খনন করে পানি নিস্কাশনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।