চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের তরিৎ হস্তক্ষেপে স্হায়ী জলযটের কবল থেকে রক্ষা পেল পাঁচ শতাধীক লোকজনের শতাধীক বসতঘর এ একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় মন্দির। সোমবার পৌরসভার চন্দ্রপুর গ্রামে জলযট নিরশনের এই ঘটনা ঘটেছে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারী - নাজিরহাট মহাসড়ক সংলগ্ন চন্দ্রপুর গ্রাম। গ্রামের সাথে লাগোয়া এই মহাসড়ক। মহাসড়কের দেড় গজ পশ্চিমে রয়েছে চট্টগ্রাম - নাজিরহাট শাখা রেললাইন। মহাসড়ক ও রেল লাইনের মাঝখানে বৌদ্ধদের পৌরসভা এলাকায় একমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মীরেরখীল চন্দ্রপুর বেনুবন বিহার। তাছাড়া এই এলাকায় রয়েছে পাঁচ শতাধীক জনগোষ্ঠীর শতাধীক বসত ঘর। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর গ্রামের বসতি এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাষনের সরকারি একমাত্র নালাটি একটি মহল রাতের অন্ধকারে ভরাট করে রাতারাতি অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। পানি নিস্কাষন একমাত্র নালাটি ভরাট করে ফেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলযট সৃষ্টি হয়। আর এই জলযটের কারণে স্হানীয় বসতঘর ও বৌদ্ধ মন্দিরে পানি ডুকে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। জলযটের কারণে মন্দিরে সকাল বিকাল প্রার্থনা থেকে বঞ্চিত হত স্হানীয়রা। গতকয়েক দিনের প্রবল বর্ষনের ফলে পানি নিস্কাষন বাধাগ্রস্হ হওয়ায় স্হানীয় বসত বাড়িতে পানি ডুকে পড়েছে। তাছাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের নীচের অংশ তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানির নীচে তলিয়ে যায়। দূর্গত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসককে মোঃ শাহিদুল আলমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক অবৈধভাবে ভরাটকৃত সরকারী পানি নিস্কাষনের নালা পৌরসভার এস্কেভেটর এনে পরিস্কার করে দিয়ে জন দূর্ভোগ লাঘব করেন।
ইউ এন ও ও পৌর প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম জনদূর্ভোগ লাগবের জন্য জনস্বার্থে অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় ভরাটকৃত পানি নিস্কাষনের নালা পরিস্কার করে দেওয়ার বিষয় গনমাধ্যকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে এভাবে জনদূর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্হা গ্রহন করবেন বলে ও উল্লেখ করেন।