বরগুনার পাথরঘাটার জ¦ীনতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ২টি মাথা ও ৮টি পা ও ১৩ কেজি মাংস উদ্ধার করেছেন একই এলাকার নুর আলম। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে মাথা, পা ও মাংস উদ্ধার করেন পরে সকাল ৬টার দিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নুর আলম জানান, ফজরের নামাজ পরে জ¦ীনতলা বেড়িবাধেঁর পাশে তার মাছের ঘেরে গেলে স্থানীয় হাবিব কাজীর মেয়ে জামাই বেলাল ও এক মোটর সাইকেল ড্রাইভার কে দেখতে পান। প্রথমে তিনি ভাবেন তার ঘেরের মাছ চুরি করছে। তখন বেলালের কাছে গেলে হরিনের মাথা দেখতে পান। বেলাল ও মোটরসাইকেল ড্রাইভার তাকে দেখে বস্তাসহ হরিণের গোস্ত রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়দের খবর দিলে তারা এসে বস্তার মধ্যে প্রায় ১২ কেজির মতো হরিণের গোশত, ২টি মাথা, ৮টি পা ও ২টি হরিণের ভুড়ি দেখতে পান। পরে বন বিভাগকে খবর দিলে তারা এসে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, বেলালের শ্বশুরের একটি রাইফেল আছে তা দিয়ে জামাই, শ^শুর ও ছেলেরা মিলে প্রায় সময়ই পাশ^বর্তী সংরক্ষিত হরিণঘাটা বন থেকে হরিণ শিকার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে হয়রানীর শিকার হতে হয় তাই কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে না।
পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের জ¦ীনতলা বেড়িবাঁধের উপর থেকে হরিণের গোশত, মাথা ও পা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত যে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।