বগুড়ার আদমদীঘিতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রী শান্তনা বেগম (২৫) বাদী হয়ে লম্পট সোহাগ সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার মূল নায়ক যুবলীগ নেতা মামলার ২নং আসামি মতিউর রহমানকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনার মুল আসামি লম্পট সোহাগ সহ দুই আসামীকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের পাইকপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে লম্পট সোহাগ রাত অনুমান ১১ টার সময় একই গ্রামের প্রবাসী মাহাবুবের স্ত্রী শান্তনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। শান্তনা বেগমের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে লম্পট সোহাগকে হাতেনাতে আটক করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে লম্পট সোহাগের ঘনিষ্ঠ জন প্রতিবেশী সখিন আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান ও তার ভাই নাঈন ঘটনাস্থলে এসে সোহাগকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী নিজেই বাদী হয়ে গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে থানায় ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপপরিদর্শক হযরত আলী সহসঙ্গীয় ফোস নিয়ে অভিযান চালিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার মূল নায়ক যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি তবে গ্রেফতারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।