আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে বসতবাড়ি সংলগ্ন দোকান ঘর অবৈধ দখলে বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ টার দিকে শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া বাজারে এঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
লিখিত এজাহার ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাগেছে, গোদাড়া গ্রামের মৃত শাহজাহান গাজীর ছেলে আহসান উল্লাহ দিংদের বসত বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম পার্শের সীমানায় তাদের একটি চায়ের দোকান ও একটি ডেকরেটরের দোকান আছে। দীর্ঘকাল সেখানে তারা ব্যবসা করে আসছেন। একই গ্রামের মৃত আমিনুদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল সরদার দিং দোকান ঘরের জমি জবর দখলের জন্য দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র করে আসছিল। ঘটনার সময় মৃত আমিনুদ্দিন সরদারের ছেলে শাহিনুর সরদার, নজরুল সরদার, রেজাউল করিম, কেরামত সরদারের ছেলে আহসান, মৃত ফজর সরদারের ছেলে মিনাজ সরদারসহ অজ্ঞাতনামা (বহিরাগত ভাড়াটিয়া) ব্যক্তিদের নিয়ে ভ্যান যোগে বাঁশের লাঠি, শাবল, দা, হাতুড়ী, কুড়ালসহ বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের দোকান ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করে। বাধা নিষেধ করলে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর মাথায় ও বুকে কোপ মেরে হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করা হয়। তার মা আনজুয়ারা খাতুন, চাচী আকিরোন নেছা, হাসিনা খাতুন ঠেকাতে গেলে মেরে নিলাফোলা জখম ও পরনের কাপড় চোপড় টেনেছিড়ে বেআব্রু ও শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়। দোকান ঘর দু’টি ও চেয়ার টেবিল, গ্যাসের চুলা, চা ও ডেকোরেটরের মালামাল ভাংচুর করে অনুমান সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। স্বাক্ষীরা গুরুতর আহতদের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাতে গেলে হুমকীধামকী দিয়ে বের করে দেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত আহসান ও আঞ্জুয়ারাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপর পক্ষের আহত রেজাউল ইসলাম বলেন, সেখানে ঘর বাধাতে গেলে থানায় অভিযোগ করলে এসআই মিঠুন তদন্ত শেষে ঘর বাঁধার কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু তারা গোপনে ঘর বাধতে গেলে আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে, এতে আমিসহ আমার ভাই হাজী নজরুল ইসলাম, ভাইপো নাইমুর রহমান আহত হন। সকলে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি হলে অবস্থান অবনতি হওয়ায় নজরুল ইসলামকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে রিফার করা হয়েছে।