বগুড়ার গাবতলীতে আদালতে বিচারাধিন ও নিশেধাজ্ঞা থাকা জমিদখল ও জোরপুর্বক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, বাঁশ কেটেনেয়াসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়ায় থানায় ৫ জনের নামে জিডি করা হয়েছে।
থানার জিডি সুত্রে জানাগেছে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের ভান্ডারা গ্রামের পিতা মৃত্যু ইব্রাহীম আকন্দের ছেলে মোঃ আবদুল বারী জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তার ভান্ডারা মৌজায় অবস্থিত, হালে ৫৬১. ৫৬২. ৫৬৪. ৫৭৬ নং দাগে বাড়ী ও ভিটা ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি কোবলাকৃত ও দানপত্র মুলে প্রাপ্তহয়ে ১৯৭৫ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন।
একই গ্রামের বিবাদী মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, পিতা মৃত্যু ইব্রাহীম আকন্দের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান, মন্তেজার রহমান, ও পিন্টু মিয়া ২৪ জুন দুপুর ১২ টায় ওই জমিতে জোরপুর্বক বাদীর রোপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতীর গাছকেটে শিকর উপড়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাদী ও তার ছেলেরা বাধাদিলে বিবাদীগন তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগারাজ, প্রাননাশসহ বিভিন্ন হুককি প্রদান করে।
জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নালিশি জমি থেকে বিবাদীগন ইতঃপূর্বে মেহগনি, দেবদারু, সুপারী, ইউক্যালিপটার্স, বেল, কাঁঠাল, আকাশমনি, শিমুল, খেজুর, কদমসহ প্রায় ৭৫টি ও ৩০০ টি বাঁশ জোরপুর্বক কেটে নিয়ে যায়। এতে বাদীর বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতিহয়। এছাড়াও বিবাদীগন, বাদীর ইট, বালু জোরপুর্বক দখল করে বাদীর বাড়ীর সামনেই প্রাচীর নির্মানকরে বাদীকে ঘরথেকে বেরহতে দিচ্ছেনা।
ফলে বাদী তার পরিবার পরিজন নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় জজ আদালতে ৩৬৭/২০২১ (অন্য) একটি মামলা বিচাধীন রয়েছে। আদালত থেকে ১ থেকে ৫ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে নিশেধাজ্ঞার আদেশ রয়েছে। নিশেধাজ্ঞার আদেশ অমান্যকরে, বিবাদীগন জোরপুর্বক বাদীর জমি থেকে বিভিন্ন গাছ কেটেনেয়াসহ দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাদী আবদুল বারী ও তার ছেলেরা অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় থানায় ২৪ জুন আবদুল বারী আকন্দ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে ১২৫৯ নং একটি জিডি করেছেন। গাবতলী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ জামিরুল ইসলাম ওই জিডি ও ঘটনা তদন্ত করছেন বলে থানাসুত্রে জানাগেছে। এব্যপারে বিবাদী জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিশেধাজ্ঞার আদেশ আদালত থেকে খারিজ হয়েছে। জমি তাদের বলে দাবী করেন।