বাগেরহাটের শরণখোলায় বয়স বাড়িয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এস এস সি পরীক্ষার্থী লামিয়া আক্তার রিমকে (১৭)। এই খবর জানতে পেরে ইউএনও লোকজন গিয়ে হাজির হন বিয়ের আসরে। তাদের হাতে ধরা পড়ে যান বর, বরের মামা ও চাচা। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয় আটক তিন জনকে।
শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে চলছিল এই বাল্যবিয়ের আয়োজন। এ সময় মেয়ের বাবা পালিয়ে য়ায়। লামিয়া আক্তার রিম চালিতাবুনিয়া সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
দন্ডপ্রাপ্তারা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের মো. জিহাদুল ইসলামের ছেলে মো. জুবায়ের (২০), জুবায়েরের চাচা নূরুজ্জামান ফকির (৩০) এবং মামা শরণখোলার চালিতাবুনিয়া বাদল তালুকদার (৫০)।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, ছেলের মামা খালেক তালুকদার এই ব্যালবিয়ের আয়োজক। তিনি তার ভগ্নে জুবায়েরের সঙ্গে লামিয়া আক্তার রিমের বিয়ে দিচ্ছিলেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর জনতে পেরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ছেলেসহ তিন জনকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়।