পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিশ আলী সিকদারকে সোমবার দুপুরে আটক করেছে থানা পুলিশ। সে মঠবাড়ীয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে মৃত হাশেম আলী সিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার আয়া (মোসাঃ শায়লা বেগম) ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্ত ভোগি আয়া জানান, সোমবার দুপুর ১ টা ১৫ মি. এর সময় মাদ্রাসা ছুটির পরে ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে ওই আয়া দরজা-জানালা বন্ধ করছিল। তখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিশ আলী সিকদার তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। এ সময় তার (আয়ার) চিৎকারে মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী আল আমিন খন্দকার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নাঈম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষের হাত সে রক্ষা পায়। পরে ভুক্ত ভোগী ওই নারী পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা পুলিশ তাক্ষনিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে আটকে রাখে।
আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম ফৌজদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো, জাকির হোসেন, নৈশ প্রহরী মো.আল আমিন জানান, ১ বছর পূর্বে ২০২১ সনের ২৯ মার্চ ওই ওই অধ্যক্ষ এ মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মৃত হাসেম আলী সিকদার স্বাধীনতা বিরোধী একজন চিহ্নিত রাজাকাল ছিল।
ভাণ্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, সোমবার ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।