পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চবিদ্যালয় শুধু একটি বিদ্যালয় নয়, এটি উপজেলার অন্যতম আলোকিত মানুষ গড়ার এক অনন্য পাঠশালা। ১৯২০সালে নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পদ্মা নদীর অদূরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। হাটি হাটি পা পা করে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার শত বর্ষ পার করেছে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টি। সবচেয়ে গর্বের কথা হলো আজ থেকে ১'শ বছর আগে আলোকিত মানুষ গড়ার ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি সত্যই আলোকিত মানুষ গড়ার মহান দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছেন। বিদ্যালয়ের কৃতী এবং আদর্শ শিক্ষকদের সময়োপযোগী এবং সুশিক্ষার উপর ভিত্তি করে গত ১'শ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভ করে সরকারের উচ্চপদস্থ পদে চাকরি করার গৌরব অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ হওয়ারও সুযোগ হয়েছে এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আহমেদ তফিজ উদ্দিন মাস্টারের। এমনকি পাবনা ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরও এই বিদ্যালয়ের ছাত্র। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র এম আকবর আলী মল্লিক, প্রফেসর এম এ জব্বার, আমিনুর রহমান, শিক্ষাবিদ ডক্টর সেকেন্দার আলী, আবদুল ওয়াহাব, আবদুল হামিদ সরকার ও শিক্ষাবিদ ফজলুল হক দেশের বরেণ্য এবং গুণী মানুষের আসন অলঙ্কৃত করেছেন। আর তাইতো ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের শতবর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে বিশেষ করে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দু'টি কমিটি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমসহ শতবর্ষ উদযাপনের বহুমুখী প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন। শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির জানান, বিদ্যালয়টি ২০২০ সালে শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। সে সময় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও মহামারী করোনার কারণে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব একদম কমে যাওয়ায় নতুন করে শতবর্ষ উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের এই অনুষ্ঠান হবে সুজানগরের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান।