বরগুনার পাথরঘাটায় সুমাইয়া আক্তার (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকাল সাতটার দিকে বাড়ীর আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার।
সুমাইয়া উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ঘুটাবাছা গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে ও পাথরঘাটা আদর্শ উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সুমাইয়ার পার্শবর্তী খলিল মিয়ার ছেলে রব্বানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রব্বানীর দেয়া একটি মুঠোফোন শনিবার রাতে সুমাইয়ার বাবা জব্দ করে। স্থানীয়রা ধারনা করছে মুঠোফোন নেয়ার কারণে অভিমানে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে।
দুলাল মিয়া জানান, সকালে সুমাইয়া ঘুম থেকে উঠে চা বিস্কুট খেয়ে ওর রুমে শুয়ে ছিল। আমি কাজের জন্য বাড়ীর বাহিরে গিয়েছিলাম। সাড়ে সাতটার দিকে ঘরে এসে দরজা জানালা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পেয়ে পাশর্^বর্তী আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে সুমায়াকে ঝুলে থাকতে দেখে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওড়না কেটে নিচে নামিয়ে দ্রুত পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
পাথরঘাটাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে আনার আগেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে সুরাতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।