চট্টগ্রামের হাটহাজারী সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্নের উন্নত দেশ গড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এই শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পিতা মাতা সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা তাদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক যতবেশি দায়িত্বশীল সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ততবেশী জীবনে উন্নতি করতে পারে। এই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মির কপিল উদ্দিন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজুল হক নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে বলে আজ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্হানে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। তিনি গত শনিবার হাটহাজারী সরকারি কলেজর প্রাক্তন অধ্যক্ষ মির কপিল উদ্দিন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজুল হক এর বিদায় উপলক্ষে কলেজ চত্বরে আয়োজিত সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। কলেজ চত্বরে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গুল মোহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম, অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবু মুছা মামুন। বিদায় অনুষ্ঠান অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজে শিক্ষকদের পক্ষে কাজী জয়নুল আবেদীন, শিক্ষার্থী মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাকেরিয়া চৌধুরী সাগর, মোঃ নাঈমুদ্দীন, বিবি জয়নাব, মিল্লাত হোসেন, নাসির উদ্দীন লাভলু,মোনায়েম আহমদ সোহেল প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক মনজুর আলী তালুকদার।
বিদায় সংবর্ধিত অধ্যক্ষ কপিল উদ্দিন বলেন আপন কর্মকালীন সময়ে নিজ দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের চেষ্টা করেছে। আর প্রশাসন পরিচালনার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে অনেক সময় কঠোর হতে হয়েছে। এতে অনেকে হয়তো অসন্তুষ্ট হয়েছে। পরবর্তীতে সকল নিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করছি। ফলে বর্তমানে কলেজ এই পর্যায়ে এসেছে। তিনি সকলে কাছে দোয়ার আর্জি জানান। অপর বিদায়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন কলেজে অর্থনীতির সম্মান শ্রেনী চালু হলে মাত্র ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করা হয়। আজ অর্থনীতির সম্মান শ্রেনী শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে তিনি মহা আনন্দিত বলে মত প্রকাশ করেন।