লক্ষ্মীপুরে বাস থেকে ২০ বছর এক নারী যাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার মূল আসামি এমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। চট্টগ্রাম সিএমপি ডাবল মুরিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক।
রোববার দুপুরে তিনি আরো জানান, মূল আসামি এমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ ছাড়া আরো অজ্ঞাত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এর আগে বাসের চালক আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় এ মামলায়।
এ নিয়ে গ্রেপ্তার হলো দুজন। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তারকৃত এমরান হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাজিরখিল এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ৩ রা জানুয়ারি শুক্রবার রাত আটটার দিকে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থেকে শ্বশুরবাড়ি সিলেটে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই নারী। তিনি বেগমগঞ্জগামী বাসে না উঠে ভুলবশত লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জগামী জননী পরিবহনের একটি বাসে উঠে পড়ে। পরে রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয় তাকে।
পরে ঘটনাটি ওই বাসের চালক আজাদ উদ্দিন ও হেলপারকে জানালে তারা ঐ ভ্যাকটিমকে নোয়াখালীগামী অন্য গাড়িতে তুলে দেয়ার কথা বলে নিলাচল পরিবহন নামের একটি খালি বাসে তুলে নেয় বাস চালক আজাদ উদ্দিন ও এমরান হোসেনসহ তিন বখাটে। পরে খালি বাসের পিছনের সিটে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই তিন যুবক।
এসময় মেয়েটির শোর চিৎকারে বাজারের নাইটগার্ড শাহাজাহান মিয়াসহ স্থানীয়রা বাসের চালক আজাদ উদ্দিনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় মূল অভিযুক্ত এমরান হোসেন ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দু-পক্ষের ধস্তাধস্তির মধ্যে বাসটার্মিনালের প্রহরী শাহাজাহান মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার আগে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসক। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানায় হেফাজতে নেয় এবং বাস চালক আজাদ উদ্দিনকে আটক করে।
পরের দিন সকালে ওই নারী বাদী হয়ে বাসের চালক আজাদ উদ্দিন, এমরান হোসেন ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ ওই মামলায় আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।