একাদশ মিনিটে গোলের শুরু। এরপর গোল হলো মুড়ি-মুড়কির মতো। আট গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানোর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত উত্তর বারিধারাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিংস অ্যারেনায় রোববার ৫-৩ ব্যবধানে জিতেছে শেখ রাসেল। আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা। ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য করে শেখ রাসেল। কোণঠাসা উত্তর বারিধারাও কম যায়নি, সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জমিয়ে রাখে তারাও। একাদশ মিনিটে রহমত মিয়ার বাড়ানো পাস বারিধারার ফজিলভ নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান মোহাম্মদ জুয়েল। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসা গোলকিপার মামুন আলিফকে বোকা বানিয়ে গোলমুখ থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন জুয়েল। চলতি লিগে পঞ্চম গোল পেলেন তিনি। শেখ রাসেলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট হয় ২৮তম মিনিটে। প্রতি আক্রমণে বক্সের ভেতর থেকে জুয়েলের শট আটকানোর পর মান্নাফ রাব্বির ফিরতি শটও ফেরান মামুন। ৩৭তম মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী। বক্সের মধ্যে জুয়েলের শট বাম্বার হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। দুই মিনিট পরই ঘুরে দাঁড়ায় উত্তর বারিধারা। সুজন বিশ্বাসের ক্রসে সামিন ইয়াসির জুয়েল নিখুঁত শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন। বিরতির বাঁশি বাজার আগে মানিক মোল্লার থ্রু পাস ধরে বক্সের কোনা থেকে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন ইসমাইল আকিনাদে; ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচ চলেছে একই ধাঁচে। ৪৮তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আকিনাদে। ৫২তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান রাব্বি। ৬২তম মিনিটে গোলকিপার পরিবর্তন করে বারিধারা। মামুনকে তুলে নামানো হয় সাইফুল ইসলামকে। পরের মিনিটেই মারুফ আহমেদের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। শেষ দিকে আসাদুল ইসলাম সাকিবের গোলে ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিলেও পেরে ওঠেনি উত্তর বারিধারা। ১৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে অষ্টম স্থানে আছে শেখ রাসেল। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে উত্তর বারিধারা।