প্রতি বছর ঈদ আসে ঈদ যায়। কিন্তু পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলের ৮টি গ্রামের মানুষ ঈদের আনন্দ কি সেটা বোঝেন না। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলার অধিকাংশ ধনী-দরিদ্র পরিবারে ঈদের আনন্দ ও উৎসবের আমেজ বইছে। ওই সকল পরিবারের সদস্যরা নতুন জামা-কাপড় এবং কোরবানির পশু কিনে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন। কিন্তু উপজেলার নাজিরগঞ্জ এবং সাগরকান্দী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৮টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ ও উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে চরাঞ্চলের চরকেষ্টপুর, চরপদ্মা, চরখাপুর, চরশ্রীপুর, চরচন্ডিপুর, রামকান্তপুর ও চরখলিলপুর গ্রামের মানুষের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ। ওই সকল গ্রামের মানুষ অত্যন্ত অভাবী। তাছাড়া এ বছর চরাঞ্চলের জমিতে আবাদ করা ধানসহ অন্যান্য ফসল তেমন ভাল হয়নি। পাশাপাশি চরাঞ্চলে রাস্তা-ঘাট না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যেরও তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। সেই সঙ্গে ওই সকল গ্রামগুলো পদ্মা নদীর কারণে মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন। সেকারণে সরকারি বা বে-সরকারি তেমন কোন ত্রাণসামগ্রীও গ্রামগুলোতে পৌঁছায়না। বলা যায় তারা সব সময় সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন। চরশ্রীপুর গ্রামের আবদুল মালেক বলেন চরাঞ্চলের বেশিভাগ মানুষ অভাবী। তারা প্রতিনিয়ত অভাবের সাথে পাল্লা দিয়ে দিনাতিপাত করেন। ফলে তাদের কাছে ঈদ আনন্দ বলে কিছু নেই। এ ব্যাপারে নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন চরাঞ্চলের ওই সকল গ্রাম গুলো পদ্মা নদীর কারণে মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন। তাছাড়া গ্রাম গুলোতে যাতায়াতের তেমন রাস্তা-ঘাটও নেই। সেকারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ওই সকল গ্রামের মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করা সম্ভব হয়না।