ইসলামের শক্তির যে ভ্রাতৃত্ববোধ,তা ফুটে উঠেছে পাবনার চাটমোহর পৌরসভার ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত বালুচর-ছোট শালিখা সমাজে। এই সমাজে কোরবানীর মাংস বিতরণ অনন্য এক দৃষ্টান্ত। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির মাংস পেয়েছেন এই সমাজে সবগুলো পরিবারে। বালুচর-ছোট শালিখা মহল্লায় কোরবানির মাংস সামাজিক ভাগের প্রথা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সমাজের সদস্য ৮ শতাধিক। সবাই সবার রাখে। ফলে যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই,এমন পরিবারগুলো মাংস পেয়েছেন। যারা কোরবানি দিয়েছিলেন,তাঁরাকোরবানীর একটি অংশ সমাজে জমা দেন। এরপর তালিকা অনুযায়ী মাংস ভাগ করে সমভাবে বন্টন করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও গত রোববার ঈদের নামাজের পর পশু জবাই শেষে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমাজ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে মাংস ভাগ করা হয়।
সমাজ প্রধান ও পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রফেসর আঃ মান্নান জানান,কোরবানির মাংস ধনী-গরিব সবার মধ্যে পরিবেশনের জন্য তিন ভাগের এক ভাগ সমাজে জমা দেন সবাই। এরপর সমপরিমাণ ভাগ করে সমাজভুক্ত ৬ শত (যারা কোরবানি দেন না) পরিবারের প্রত্যেকে দেওয়া হয়। বাপ-দাদার পর আমরাও এই প্রথা চালু রেখেছি। এতে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ে,কোন বিরোধ সৃষ্টি হয়না।
সমাজের সদস্য পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ মাহাতাব হোসেন জানান,কোরবানির মাংস ভাগাভাগিতে এটি একটি দৃষ্টান্ত। এখানে দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই এক সমাজের বাসিন্দা। এত বড় সমাজ মনে হয় চাটমোহরে আর নাই।