৩রা জুলাই ২০২২ আমার স্নেহময়ী মায়ের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাই মনের গভীরে অনুভুত হচ্ছে তাঁর স্মৃতি ও একটা অভাববোধ। একটা দুঃখবোধও আছে এজন্য যে তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর জন্য যতটুকু করার দরকার ছিল তার কিছুই বলতে গেলে করতে পারিনি। কর্মস্থলে প্রবেশ করার পরতো চাকরীর সীমাবদ্ধতার কারণে কাছে থাকতে পারিনি। তিনি বেড়াতে আসলে বাড়ী যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেতেন যেমন আমার পিতা করেছিলেন। নিজের গড়া সংসার থেকে দূরে থেকে তাঁরা স্বস্তি পেতেন না। এছাড়া, তখনো আর্থিক ভাবে এত সচ্ছল ছিলাম না। চাকরীর পরপরই বিয়ে করা, সন্তানদের জন্ম হওয়া, সামাজিকতা রক্ষা করা, সবকিছু মিলিয়ে নিজেরই টানাপোড়ন ছিল। আব্বার মৃত্যুর পর দুবছর মা জীবিত ছিলেন। তখন তাঁর কোন পারিবারিক দায়িত্ব ছিল না। আমার একমাত্র বোন আয়েশা বিয়ের পর থেকেই আমাদের বাড়ীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কারণ তার স্বামী ফারুক আহমেদ সৌদি প্রবাসী ছিলেন। তার তিন সন্তানের এই বাড়ীতেই জন্ম হয়ে পড়ালেখা শেষ করে এখন কর্মস্থলে। ফলে সংসারটি তার হয়ে যায় এবং আব্বা-আম্মার দায়িত্ব ওর উপরই ছিল। সে বাড়ীতে ছিল বলেই তার উপর দায়িত্ব দিয়ে আমরা চার ভাই নিশ্চিন্ত ছিলাম। সবকিছু সেই করেছে। আমরা নিজেরা বাবা-মায়ের কোন খেদমত করতে পারিনি বলে আজো হৃদয়ে ব্যথা অনুভব করি। তখন এত অনুভবও আমাদের হয়তো হয়নি। তাদেরকে হারিয়ে এখন অনুশোচনা করছি। বিধাতা আমাদের ক্ষমা করুন।
আমার মাকে রতœা গর্ভা এইজন্য বলব যে তাঁর পাঁচ সন্তান ব্যক্তিগত এবং সমাজ জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। কোন একটি সন্তানের ক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি বা কোনটা উচ্ছন্নে যায়নি। আমাদের ৪র্থ ভাই ফকরুল আমীন (কুট্টি) শিশু বয়সেই মারা যায়। আমরা নিজ গ্রামের বিদ্যালয় পেরিয়ে খ্যাতনামা কলেজে এবং বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠ শেষ করেছি। অথচ আমাদের মা শিক্ষিত ছিলেন না। সেটা অবশ্য তৎকালীন সমাজ ও পরিবেশের কারণে। যথাসময়ে কর্মজীবনেও আমরা প্রবেশ করেছি এবং বলা যায় একটা সম্মানজনক অবস্থানে আসীন হয়েছি। এটা ঠিক যে, আমরা এমন বড় কিছু হইনি বা তা দাবীও করছি না, তবে যা হয়েছি বা আছি তাতেই আমরা তৃপ্ত এবং সন্তুষ্ট। সেজন্য মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সমাজের মধ্যবিত্ত, বরঞ্চ নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে যা অর্জন তা আমাদের পিতা-মাতার অবদান, প্রচেষ্টা ও দোয়া। তাঁর একছেলে সেনা কর্মকর্তা ও ক্যাডেট কলেজ সহ কয়েকটি প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং অবসরের পর বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, এক ছেলে একাধিক ব্যাংকের এমডি বা ব্যবস্থপনা পরিচালক ও কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব, এক ছেলে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এন এস আই) অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক এবং বর্তমানে একটি বীমা কোম্পানীর কোম্পানি সেক্রেটারী, আর সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে একটি বীমা কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এডিশনাল এম.ডি.)। তাঁর একমাত্র কন্যা গ্রামে বসবাস করেও বিএ, বিএড করে এখন একটি এমপিওভুক্ত বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া, আমরা সবাই জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক কর্মকা-ে জড়িত রয়েছি। নিজ এলাকায়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি যা কিছু কিছু ব্যক্তির কাছে ঈর্ষনীয়। আরেকটি দিক গুরুত্বপূর্ণ। তা হল আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পত্তি বা অন্য কোন বিষয়ে কোন দ্বন্দ নেই যা অন্যান্য পরিবারে বিরল। আমরা যা কিছু করি সবাই যার যার আর্থিক সংগতি অনুযায়ী যৌথভাবে করি, কে কম দিল কে বেশী দিলো সেজন্য কোন প্রশ্ন নেই। আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। আমাদের বোনকে আমাদের বসত বাড়ীতেই বসবাসের ব্যবস্থা করেছি যেটাও একটি বিরল ঘটনা। আমাদের বসত বাড়ীতে তারও পৃথক আবাসিক অবস্থান। এসবই কি একজন মায়ের জন্য যথেষ্ট নয়? আশা করি, পরকাল থেকে আমাদের মা-বাবা তৃপ্তির হাসি হাসছেন। যাহোক, তাই বলে আমরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আমাদের মাকে রতœগর্ভা পুরস্কারের জন্য কোন আবেদন করছিনা। কারণ, সুখ ও তৃপ্তিতো নিজেদেরই একান্ত।
আমার মা শিক্ষিত ছিলেন না। তবে কোন মা শিক্ষিত হোন আর অশিক্ষিতই হোন না কেন মা-ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আমি বলছি এখন থেকে (এখন ২০২২ সাল) আরো আনুমানিক ৯৫ বছর আগের কথা যখন আমাার মা পৃথিবীতে এসেছিলেন। তখনো মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ধর্মভীরু পরিবারে অনেকটা নিষিদ্ধ ছিল। তাই স্কুলের গ-িতে যাওয়া হয়নি। সম্ভবত: শিশু শ্রেনী বা প্রথম শ্রেনীতে বর্নমালা, শতকিয়া পর্যন্ত পড়েছিলেন স্কুলে, ইংরেজি বর্ণমালাতো নয়ই। তাও বাড়ীর সামনেই স্কুল ছিল বলে যেটি নব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুধু আমার মা কেন, আমাদের পূরো ১০ গ্রামের কোন মেয়েই স্কুলে আসত না। এমনকি আমাদের গ্রামের বুনিয়াদি পরিবারের কোন মেয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর এগুতে পারেনি। আমি আমার মায়ের সময়ের কথাই বলছি। আরো উল্লেখ করা যায় যে, আমার সংগে আমাদের খিলবাইছা জি এফ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে যেসব মেয়েরা (২/৩ জন) পড়ত তারাও শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ই শেষ করেছে। আমাদের সময় ইউনিয়নে তখন একটিই হাই স্কুল ছিল। এতেই আমাদের গ্রামীন সমাজের তৎকালীন চিত্র অনুমান করা যায়। তবে তারা সবাই ধর্মীয়ভাবে শিক্ষিত ছিল। জীবনে কখনো মাকে নামাজ মিস করতে দেখিনি। যত রাতেই ঘুমুতে যেতেন না কেন ভোরে ঠিক সময়ই উঠে ফজরের নামাজ পড়তেন। অথচ কোন ঘড়ি, রেডিও-টিভি ছিল না। যখন এগুলি ছিল তখনো তাঁর সেসবের প্রয়োজন ছিল না। সূর্য্য এবং চন্দ্রের আবর্তনের সংগেই তাঁদের সময়ের হিসাব ছিল। এ ছাড়া পাখির কিচির-মিচির আর মোরগের ডাক তাঁদের উঠিয়ে দিত। এ শুধু আমার মা নন, গ্রামাঞ্চলের সবারই এই অবস্থা ছিল। রীতিমত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন আর সন্তানদের জন্য দোয়া করতেন। নিজে শিক্ষিত না হলেও আমাদের পড়ালেখার ব্যপারে সদা সতর্ক খেয়াল রাখতেন। স্কুলে যাবার আগে খাওয়া, মধ্য বিরতির (খবরংঁৎব ঢ়বৎরড়ফ) সময় খাওয়া (বাড়ীর পাশেই স্কুল ছিল বলে) এবং সময়মত খেলাধূলা ও পড়ালেখা ইত্যাদির ব্যপারে ঠিকভাবে হিসাব রাখতেন এবং ব্যবস্থা করতেন। রাতে যতক্ষণ আমরা পড়তাম ততক্ষণ জাগ্রত থাকতেন মা যদিও নিজেই ঝিমাতেন। মূলত: গ্রামের লোকজনের কাছে সন্ধ্যায়ই রাত শুরু হত তখন। আমরা নিজেরাও রাত ১০ টার পর স্কুল জীবনে পড়ার টেবিলে থাকতাম না। কারন, বৈদ্যুতিক বাতি ও যন্ত্রপাতি, টিভি ইত্যাদি ছিল না। ফলে এশার নামাজ পড়ে খেয়ে-দেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ত, আবার ভোরে জেগে উঠত। অবশ্য এখন আর সেই দিন নেই, এখন গ্রামের লোকরাও শহুরে জীবন যাপন করে।
মায়ের কাছে সততার যে সবক পেয়েছি, তা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় তাল গাছ থাকত এবং তাল পাকলে গাছের নীচে পড়ে থাকত। রাতে পড়া তাল ভোরে ছোটরা কুড়িয়ে নিত সে যার গাছেরই হোক না কেন, দিনের বেলায়ও অনেক সময় পাওয়া যেত। কখনো অন্যের গাছের তাল কুড়িয়ে নিয়ে গেলে মা ফেরত দিতেন। কার গাছের তাল নিয়ে এসেছি প্রশ্ন করতেন এবং বলতেন,“ আমি এই তাল রাখবনা, যার গাছ তাকে ফেরত দিয়ে আস”। আজো এই বাক্যটি মনে পড়ে। সেই থেকে সাবধান হয়ে গেছি। আমাদের নিজেদেরই তাল গাছ ছিল। অতএব, অন্যান্যের গাছের তাল আর আনতে হত না। এধরণের অন্যান্য বিষয়েও দীক্ষা পেয়েছি তাঁর কাছ থেকে। আর্থিক অনটন থাকলেও মা ম্যানেজ করে নিতেন, আমাদেরকে বুঝতে দিতেন না। আব্বা কখনো বাজার করতে পারলেন না বা চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যোগাড় করতে পারলেন না, মা ঠিকই ব্যবস্থা করে নিতেন। তখন গ্রামে “মুট চালা” বলে একটা কথা ছিল। প্রতিবার রান্নার চাল নেয়ার আগে হাঁড়ি থেকে অন্তত এক মুঠ চাল হলেও আলাদা করে জমাত গ্রামের মহিলারা। এখান থেকেই মসজিদে দান বা ভিক্ষুকদের দেয়া হত। আবার দু:সময়ে কাজে লাগত। স্বামীদের অনেকটা অগোচরেই এ কাজটি করা হত। মাও তাই করতেন।
আমার মা যথেষ্ট পরিশ্রমী একজন মহিলা ছিলেন। একাই সংসার গুঁছিয়ে রাখতেন। আমার বোন এসেছিল আমাদের চার ভাইয়ের পর। সে পর্যন্ত মাকে সাহায্য করার কেউ ছিল না। দাদীকে আমরা বৃদ্ধা হিসেবে দেখেছি। সংসার যখন বড় হতে শুরু করল তখন দাদীকেও দেখা-শুনা করতে হত। আবার আব্বা আলসারের রোগী ও পরে এজমার রোগী হওয়ায় আমাদের ঘরে জন্মের পর থেকেই দেখেছি আব্বার জন্য পৃথক খাবার ব্যবস্থা বা রান্না করা হত। কেননা, আব্বা তেল-ঝাল দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে পারতেন না। ফলে মায়ের জন্য এটি একটি অতিরিক্ত চাপ ছিল। যত কিছুই হোক না কেন আব্বার জন্য সময়মত খাবার তৈরী করতে হত। কারণ দলিল লেখক হওয়াতে তিনি দৈনিকই লক্ষীপুর সদর-রেজিস্ট্রি অফিসে যেতেন। আবার তাঁকে ঘন ঘন খাওয়াতে হত অল্প পরিমান করে। শেষের দিকে কখনো কখনো তরকারী একত্রে রান্না করলেও ঝাল-তেল নগন্যই দেয়া হত। ফলে আমরা ঝাল ছাড়া তরকারী খেতে অভ্যস্ত হয়েছি। এসব কিছু মাকে একাই সামলাতে হত। বাড়ীতে গৃহকর্মী থাকলেও সে বাইরের গৃহস্থালী কাজ সামলাতো। শেষের দিকে একটা ছোট বালককে রাখা হলেও সেও ঘরকন্নার কাজ করত না। আব্বার দুধের প্রয়োজনে একটা গাভী পালা হত সব সময়। গৃহ কর্মী সেটি এবং অন্যান্য গৃহস্থালি দেখত। আব্বার সাথে মায়ের খুনশুঁটি লাগত দেখেছি। কিন্তু কখনো আব্বার প্রয়োজন মেটাতে বিন্দুমাত্র অবহেলা করতেন না মা। এমন সংসার ও স্বামীভক্ত মহিলা কমই দেখা যায়। জীবনে কষ্ট করলেও আমাদের পড়ালেখায় ভাল করা এবং সম্মানজনক প্রতিষ্ঠায় মা-বাবা দুজনেই পরিতৃপ্ত ছিলেন এবং আল্লাহ্র নিকট শুকরিয়া আদায় করতেন। আমাদের কাছ থেকে মাঝে মাঝে টাকা পেলে তিনি তা নিজের জন্য খরচ না করে আমাদের মংগলের জন্য দান করে দিতেন। মোটকথা সন্তানদের সাফল্যের চেয়ে আর কিছুই মূল্যবান নয়।
আমার মা বায়াত্তর কি তিয়াত্তর বছর বেঁচে ছিলেন। সাধারণত: তিনি নীরোগ জীবন যাপনই করেছিলেন। মাঝ বয়সে আমি যখন নি¤œ প্রাথমিকে তখন কি কারণে জানি তাঁর বাম চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশেষে অপারশেন করতে হয়, কিন্তু ঐ চোখে আর দেখতে পাননি। অবশ্য এতে কোন অসুবিধা হয়নি। একচোখ দিয়েই তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পেরেছেন। তাঁর যে একটি চোখ খারাপ এটি এমনিতে বুঝা যেতনা, স্বাভাবিকই ছিল দেখতে। শেষ বয়সে তাঁর শরীর খারাপ হত। ডাক্তার দেখে বলত কোন অসুখ নেই। তবে কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল, কখনো কখনো বিষন্নতায় ভুগতেন, সর্দি-কাশি হত যার জন্য ওষুধ খেতে হত। আব্বার মৃত্যুর পর তিনি তেমন ভাল ছিলেন না। মৃত্যুর আগে একবার কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলেন লক্ষ্মীপুরেই। তখন আমি গিয়েছিলাম তাঁকে দেখতে। এর কিছুদিন পর, আব্বার মৃত্যুর প্রায় দুবছর পর ইহকাল ত্যাগ করেন। পরদিন সকালে আমাদের উপস্থিতিতেই তাঁকে দাফন করা হয়। তখন ভরা বর্ষা, কবরে পানি উঠে যাওয়ায় মাটি দিয়ে কবরকে কিছুটা উঁচু করা হয়।
আমৃত্যু মমতাময়ী মায়ের ত্যাগ ও ভালবাসার কথা আমরা প্রথম বয়সে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারিনা। ওটাকে সাধারণ নিয়ম বলে মনে করি, কিন্তু যখন নিজেরা মা-বাবা হই তখন আসল ব্যপারটা বুঝতে পারি। মা-বাবার মমতার সাথে পৃথিবীর আর কোন ভালবাসার তুলনা হয় না। তাঁরা নিজেরা ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানের জন্য এমনকি জীবনের বিনিময়েও সবকিছু করতে পারেন। আমরা এখন যা বুঝি বা যা করেছি আমাদের সন্তানদের জন্য তা তারা গভীরভাবে বুঝতে অনেক সময় লেগেছে যখন নিজেরাও বাবা-মা হয়েছে। এই স্নেহ-মায়া সহজাত ও বিধি প্রদত্ত। কোন কিছুর বিনিময়ে বা কোন স্বার্থে মায়ের ভালবাসা হয় না। সন্তান যাই হোক না কেন মায়ের কাছে তাঁর সন্তানই শ্রেষ্ঠ। আজ আমরা আমাদের মাকে অনুভব করি, তাঁদের জন্য দোয়া করি, দান-খয়রাত করি, আমাদের ভাল ও পূণ্য কাজের বিনিময়ে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। ভাল থাকুন আমাদের সব বাবা-মা। তাঁদের সন্তান হতে পেরে আমরা গর্বিত ও ধন্য। মায়ের দোয়া শ্রেষ্ঠ দোয়া। মা বাবার আশীর্বাদ ও মঙ্গল কামনা আমাদেরকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তাঁদের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহতায়ালা আমার স্নেহময়ী মাকে হেফাজত করুন। আমীন।
সাবেক অধ্যক্ষ ও কলাম লেখক