চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদ আনন্দ উপভোগকারী দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে চলছে এই ভীড়। স্থানগুলোতে বৃদ্ধদের উপস্থিতি কম হলেও নারী-পুরুষ,শিশু, যুবক-যুবতী উপস্থিতি ছিল অনেকটা বেশী।
গোমস্তাপুর উপজেলার প্রানকেন্দ্র রহনপুরের একটু অদূরে রাজালক্ষনের স্মৃতি বিচরিত ষাঁড়বুরুজ পাড়, রহনপুর পৌরসভার শিশু পার্ক, মহানন্দা নদীর উপর নির্মিত চৌডালা ও মকরমপুর সেতু, পাখি পার্ক,স্টার পার্ক, রামদাস বিল,শিবরামপুর সীমান্তে এলাকাসহ বেশ এলাকায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতে মুখরিত ছিল। স্থানগুলো দর্শনার্থীদের জন্য মুখরিত খাবারে দোকান বসেছিল।
ষাঁড়বুরুজ এলাকার বারো ভাজী দোকানদার মাঈনুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন সকালে থেকেই এই দর্শনীয় স্থানে প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটে। রাত পর্যন্ত বেচাকেনার করে থাকেন তিনি। বিকেলে সব শ্রেণীর সমাগম বেশি। প্রচন্ড গরমের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার লোকজন পাড়ের চুড়ায় বসে শীতল বাতাস ও গল্প আড্ডায় মগ্ন থাকে। তাঁর ভালই একটা আয় হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রহনপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা মাহফুজ জানান,চাকুরী কারণে বাইরে থাকতে হয়। এলাকায় তেমন থাকা হয়না। পরিবারের এখন অনেক নতুন সদস্য এসেছি। তাঁদেরকে পরিচিত করার জন্য রাজালক্ষনের স্মৃতি বিচরিত স্থানটিতে নিয়ে এসেছি। পাড়ে উঠে তাঁরা বেশ খুশি।
রহনপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা রামদাস ঘাট এলাকায় ঘুরতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন কোথায় ঘুরতে যাওয়ার হয়নি। বাইকে করে কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছি। এখানে এসে ঈদের আমেজ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই স্থানের চারিদিকে সবুজের সমারহ। পূণর্ভবা নদী বয়ে চলে গেছে একদিকে অন্যদিকে আরেকটি ভারত সীমান্তে চলে গেছে। তাঁরমত অনেকে সন্ধ্যার সময় ভারতের কাঁটাতারের সংলগ্ন ভারতী লাইট দেখতে বসে আসে।
মহানন্দা নদীর পাড়ে নির্মিত মকরমপুর সেতুতে আসা নারী দর্শনার্থী আয়েশা জানান, ঈদের পরের দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা নদী ও সেতুর উপর ঘুরাঘুরি করতে পেরে খুশি।
রহনপুর পৌরসভার শিশু পার্কে এক অভিভাবক বলেন, পৌর এলাকার শিশুদের খেলার তেমন মাঠ নেই, শিশুদের একটু খুশি দিতে এখানে এসেছি। তবে অনেক পরিবারের শিশুরা এসেছে এখানে। তাঁদের সাথে খেলতে পেরে বেশ খুশি।