রাজশাহীর বাঘায় লাল ও কালো রঙ্গের দুটি কুকরের কামড়ে পথচারি, শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার (১২ জুলাই) উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার হালদার পাড়া ও মাষ্টারপাড়া এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্রে ও স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার আড়ানী পৌরসভার মাষ্টারপাড়া এলাকার জগা কুমারের স্ত্রী সুবিতা রানী বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে একটি লাল রঙ্গের পাগলা কুকুরে আক্রমণ করে। একই এলাকার আজিজুলে ছেলে গোপাল তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও আক্রমণ করে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে। এ ছাড়া মাষ্টারপাড়া এলাকার দিপু কুমারের স্ত্রী অর্চনা রানী, সাইফুল ইসলামের স্ত্রী কাবেরি বেগম, বিশ্বনাথ সাহার স্ত্রী সুবিত্রা সাহা, হিমেলের স্ত্রী ফামিদা বেগম, শুনাতের স্ত্রী পলি, সম্ভুর স্ত্রী পাখি, নেপালের স্ত্রী অনিতা, হালদারপাড়া এলাকার গোতমের স্ত্রী উরমিলা, বিশ্বনাথ বারই এর স্ত্রী অর্পনা, বাটুলের স্ত্রী অনিতা, আকরামের মেয়ে শুনারা ও পথচারী সহ প্রায় ২৫ জনকে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্রে ও স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আড়ানী মাষ্টারপাড়া এলাকার তুহিন বলেন, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমরা কুকুর আতঙ্কে রয়েছি। অনেকেই লাঠি হাতে নিয়ে চলাচল করছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া যারা কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। তারা অনেকেই দরিদ্র। তাদের সংসার পরিচালনা করায় কষ্টকর ব্যাপার। তাদের সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যও তিনি দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আড়ানী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদুজ্জামান রানা বলেন, কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি। তবে ঘটনা জানার পর সবাইকে সতর্কতার সাথে চলাচলরের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিচন্নকর্মীকে বলেছি এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
বাঘা উপজেলা স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জাামান বলেন, পাগলা কুকুরে কামড় দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয়ে পারে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন দিতে হবে।