বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা মঙ্গলবার। এই দিনে সিদ্ধার্থ গৌতম মাতৃজঠরে প্রতিসন্ধি গ্রহন, গৃহ ত্যাগ, বুদ্ধ কর্তৃক সারানাথে ধর্মচক্র সূত্র দেশনা, প্রতিহার্য হৃদ্ধি প্রদর্শন, মাতৃদেবীকে দেশনার জন্য তাবতিংস স্বর্গে গমন করেছিলেন। সিদ্ধার্থ গৌতমোর জীবনের এই পাঁচ স্মৃতি বিজরিত দিন থেকে প্রত্যেক বিহার তথা মন্দিরে অবস্থানরত ভিক্ষু সংঘের ত্রৈয় মাসিক বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান ও গৃহী সংঘের উপসতিক অধিষ্ঠানব্রত শুরু হবে। সারা বিশ্বে অবস্থানকারী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী এই উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করবে। তারই ধারাবাহিকতায় হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থানকারী আট ইউনিয়নের ১৫টি বৌদ্ধ বিহার তথা মন্দির যথাক্রমে পশ্চিম ধলই উদালিয়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহার, একই এলাকার মঙ্গলবুদ্ধ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, রুদ্রপুর ধর্মরতœ বিহার, বালুখালী জগৎ জ্যোতি বিহার, গুমানমর্দ্দন শান্তি বিহার, গুমানমর্দ্দন সার্বজনীন নালন্দা বিহার, গুমানমর্দ্দন আরিয়া ওয়েসা আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, গুমানমর্দ্দন ধর্মচক্র বিহার, মির্জাপুর শান্তিধাম বিহার, মির্জাপুর গৌতমাশ্রম বিহার ও উপগুপ্ত মহাস্হবির মন্দির, মীরেরখীল চন্দ্রপুর বেনুবন বিহার, জোবরা সুগত বিহার, সিদ্ধ পূরুষ গুরুগবিন্দ ঠাকুর স্মৃতি মন্দির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা, মধ্যম মার্দাশা সার্বজনীন শান্তি নিকেতন বিহারে এ উপলক্ষে দিনব্যাপী পৃথক পৃথক ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোরো পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবানী পাঠ, বিহার/ মন্দিরে অবস্থানকারী ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয়, ধর্মীয় ও স্ব স্ব সংগঠনের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধু পূজা, পঞ্চশীল ও উপসতশীল গ্রহন, বর্ষাসাঠিক দান, ভিক্ষু সংঘ ও উপসতশীল ধারীদের পিন্ডাচরন ও মধ্যহ্ন ভোজ গ্রহন, দুপুরে আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, বুদ্ধ কীর্তন, সন্ধ্যাকালীন প্রদীপ, গিলানো প্রত্যয়,সরবতী ও বৈশয্য পূজা, দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, জীব, প্রার্থীব জগতের শান্তি ও মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মানব জাতিকে রক্ষার জন্য বিশেষ প্রার্থনা, পূর্ণ্যদান ও অনুমোদন। বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের ওমান ছুর বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি কাঞ্চন বড়ুয়া ও হাটহাজারী বৌদ্ধ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বিকাশ বড়ুয়া ও অনুপম বড়ুয়া সংবাদ পত্রে প্রদত্ত পৃথক পৃথক বিবৃতিতে হাটহাজারী, চট্টগ্রাম তথা সমগ্র দেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। নেতৃবৃন্দ মহান এই দিনে সকলের মঙ্গলময় জীবন কামনা করেছেন।