আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বাদিনীকে নির্মমাভাবে জখম ও হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এবং দু’ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে বাদিনী ও তার পরিবারের উপর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বাদীনি এখন চরম ভাবে উদ্বিগ্ন।
উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের রাধারআটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আঃ সাত্তার গাজীর কন্যা রেবেকা ও তার পরিবারের সাথে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ তাদেরকে হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতি করে আসছিল। গত ২৮ জুন প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে সুদীকারবারী আঃ সবুর, ইউনুচ মল্লিকের ছেলে ইসতিয়াক ও মৃত সাবুর মল্লিকের ছেলে ইউনুচসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা দা, লোহার রড, শাবল সহকারে তার বসত বাড়ির সামনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকী দিতে থাকে। মৌখিক প্রতিবাদ করলে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর দা-শাবল দিয়ে আঘাত করলে মাথার মাঝবরাবর ও কাধে হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করা এবং স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেওয়া ও শ্লীলতাহানি ঘটান হয়। গুরুতর জখমী রেবেকাকে হাসমপাতালে ভর্তি ও থানায় মামলা করা হলে পুলিশ আসামি ইসতিয়াককে গ্রেফতার করেন। বিজ্ঞ আদালত ২ ও ৩নং আসামীকে জামিন দিলে তারা বাড়ি ফিলে এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান ১ নং আসামি সবুরসহ তাদের সহযোগিরা হাসাপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা বাদীনিকে মামলা তুলে নিতে হুমকী এবং তাকে সহ পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশে হুমকী দিয়ে চলেছে। এমনকি পুলিশ তাদের আত্মীয় এবং টাকার বিনিময়ে তারা ঠিকই পার পেয়ে যাবে, তখন মজা দেখিয়ে দেবে বলে আস্ফালন করে যাচ্ছে। বাদীনি বাড়ি থেকে বাইরে এলেই রেহাই দেয়া হবেনা এমনতর বিভিন্ন হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বিধবা রেবেকা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন ও আইন আদালতের জরুরী সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।