পূর্ণিমার প্রভাবে উচ্চ জোয়ারে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নগরীর নিন্মাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কেও পানি উঠেছে।
শুক্রবার সকালের মধ্যে নগরীর অনেক এলাকার মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পরেছে। নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, পলাশপুর, ভাটিখানা ও হাটখোলাসহ সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, চরকাউয়া এলাকায় নদীর পানি ঢুকে পরেছে।
ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বাসার বাইরে বের হতে পারিনি। বাসার সামনে হাঁটু সমান পানি। নদীতে পানি বাড়ায় রাস্তায়ও পানি বাড়ছে। পলাশপুর এলাকার আল-আমিন হোসেন বলেন, এলাকার অনেকের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম জানান, কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি নদণ্ডনদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়নের বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত তিনদিন যাবত দক্ষিণাঞ্চলের সব নদণ্ডনদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন তা অব্যাহত থাকবে।
মেঘনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বেশীরভাগ নিচু এলাকা গত কয়েকদিন যাবত পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। বানারীপাড়ার উপজেলার উমারেরপাড়া, মরিচবুনিয়া ও স্বরূপাকাঠীর বলদিয়া ইউনিয়নের চামি ও গগণ এলাকার নিন্মাঞ্চল সন্ধ্যা নদীর জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।