নালিতাবাড়ী উপজেলার খরস্রোত চেল্লাখালী নদীতে অপরিকল্পীতভাবে বালু উত্তোলন ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে উত্তর পলাশীকুড়া গ্রামে প্রায় ৪ শ মিটার নদীতীর ভেঙে যায়। ভাঙন অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় হুমকির মুখে পড়েছেন প্রায় ৬০ টি পরিবার। নদীর ভাঙন ঠেকাতে ইউনিয়ন পরিষদ এবং গ্রামবাসীদের শ্রম ও আর্থিক সহযোগীতায় অস্থায়ীভাবে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ওইস্থানে পাইলিং ও সিমেন্টের ব্লক তৈরি করে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোড় দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেল্লাখালী নদীর উত্তর পলাশীকুড়া গ্রামে প্রায় ৪শ মিটার নদীতীর ভেঙে যায়। বর্তমান বর্ষা মওসুমে জানমাল ও বসতবাড়ি বাঁচাতে ওই ভাঙন অংশে গ্রামবাসীরা মিলে বাঁশ খুটি দিয়ে একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছেন। যদি আবার পাহাড়ি ঢল নামে তাহলে ওই বাঁধ ভেঙে যাবে। এতে নদী তীরবর্তী প্রায় ৬০ টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আংশকা রয়েছে।
পোড়াগাঁও এলাকার ইউপি সদস্য হযরত আলী, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক, বাসিন্দা শামছুল হক ও বাদশা মিয়া বলেন, বসতবাড়ী রক্ষা করতে গ্রামবাসীরা মিলে তড়িঘরি করে বাঁশ, খুটি ও বালু দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছি। যদি আবারও পাহাড়ি ঢলে বন্যা হয় তাহলে এই বাঁধ ভেঙে যাবে। আর বৃষ্টি হলেই আমাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। আতঙ্কে থাকি কখন যেন পাহাড়ি ঢল এসে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়। তাই গ্রাম বাঁচাতে নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে ওই ভাঙন অংশে পাইলিং ও সিমেন্টের ব্লক তৈরি করে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, চেল্লাখালী নদীর উত্তর পলাশীকুড়া এলাকার ভাঙন অংশে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। সরকারীভাবে বরাদ্দ পেলেই আমরা দ্রুত ওই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করবো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান জানান, পাহাড়ি ঢলে চেল্লাখালী নদীর ভাঙন অংশ পরিদর্শন করে সেখানে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।