রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তিনটি ইউনিয়ন। ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করায় ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০ টি গ্রামের মানুষ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ আমন ফষলের ক্ষেত। দূর্গত এলাকায় বসত ঘরসহ চলাচলের রাস্তা তলিয়ে আছে হাঁটু সমান পানিতে। দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট। কিন্তু এ পানিবন্দী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শতাধিক পরিবারকে চাল,ডালসহ শুকনো খাবারের প্যাকেট দেয়া হবে আজ।
পূর্ণিমার জোয়ার শুরু হওয়ায় নদীর পানির উচ্চতা ও ঢেউয়ের তান্ডব বেড়ে যাওয়ায় লালুয়ার চাড়িপাড়া বাঁধের বুড়াজালিয়া ও চম্পাপুরের দেবপুর ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ শুরু করে।
এ দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, দীর্ঘ বছর ধরে দেবপুর ও চাড়িপাড়া বাঁধের কয়েক কিলোমিটার বাঁধ ভাঙ্গা। এবার ওই ভাঙ্গা বাঁধ আরও ভেঙ্গেছে। এ ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত না করায় প্রতিবছর বৃষ্টি কিংবা ঝড়ো মৌসুম শুরু হলেই নদীর পানিতে প্লাবিত হয় চম্পাপুর ও লালুয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম।
এদিকে পানির তোড়ে নতুন করে ভেঙ্গেছে ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া ও কোডেক বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বাইপাস বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট। এতে এ ইউনিয়নের চারটি গ্রাম রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম।
এদিকে নদীর পানির উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পানি বন্দী গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। প্রতিটি গ্রাম দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে থাকায় অভ্যন্তরীন সড়কসহ বসত ঘর তলিয়ে রয়েছে। কিন্তু এসব মানু্ষরে সহায়তায় এগিয়ে আসছে না কেউ।
ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের লোকজন জানান, ঘরে পানি, বাইরে পানি। গবাদিপশু, হাস- মুরগী নিয়ে কেউবা ঘরে ও ঘরের চৌকিতে, কেউবা বাঁধের উপর অবস্থান নিয়েছে। নেই রান্নার ব্যবস্থা। কিন্তু তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে না কেউ। এভাবে আরও কয়েকদিন চললে এ এলাকায় পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যাবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একশ পরিবারকে চাল, ডাল, তেলসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে আজ। এজন্য প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে।