পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ে বাড়িতে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া সুফিয়া বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী মোরেলগজ্ঞ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুফিয়া বেগম ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুনসুর আলী হাওলাদারের স্ত্রী।
নিহত সুফিয়ার বড় ভাই আবদুর রশিদ জানান, তার ছেলের ঘরের নাতির বিয়ে উপলক্ষে দুদিন আগে বোন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
গতকাল বাড়ির পেছনে পুকুরের পাড়ে সুফিয়া নিজের গায়ে নিজে আগুন দেয়। পরে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে সে মারা যায়।
নিহতের ছোট ছেলে রমিজ জানান, দুদিন আগে মা মামার সাথে তাদের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে বেড়াতে যায়। তবে কী কারণে মা তার শরীরে আগুন দিয়েছে তার কিছুই আমরা জানিনা।
পত্তাশী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জোবায়ের তালুকদার জানান, নিজের গায়ে নিজে আগুন দেওয়া সুফিয়া বেগমের আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে। হয়তো কারোর সঙ্গে অভিমান করে গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূ মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, নিজের গায়ে আগুন দিয়ে সুফিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে বলে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।