টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রেমিকা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় মধ্যরাতে বাড়ী এসে ধর্ষনের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে প্রেমিক। বুধবার রাতে উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের কোপাখী গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। জানা যায়, ডুবাইল ইউনিয়নের ছোট ডুবাইল গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে পাপন (৩০) পার্শ^বর্তী কোপাখী গ্রামের মো. আব্বাছ মিয়ার কলেজ পড়-য়া মেয়ে বিথী আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সম্পর্কের ৬ মাস পর বিথী জানতে পারে তার প্রেমিক পাপন বিবাহীত এবং ১ সন্তানের জনক। পাপন তার সঙ্গে প্রতারণা করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বিধায় সে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাপন গভীর রাতে প্রেমিকা বিথীর বাড়ী এসে বসত ঘরের বাড়ান্দার কক্ষে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। বিথীর ডাকচিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে পাপনকে আটকে রাখে। সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেনের মাধ্যমে থানায় খবর দেন বিথীর পরিবার। থানা পুলিশ দুপুরে পাপনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, উভয়ের সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাপন বিবাহীত জেনে বিথী যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। রাতে পাপন বিথীর বাড়ীতে এসে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। বিথী এবং তার পরিবার আটকে রেখে থানায় খবর দিলে পাপনকে আটক করা হয়। ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।