নওগাঁ সরকারি জমি দখল হলেও দেখার কেউ নেই। হয়নি অভিযোগ করেও কোন সুরাহা। জানা গেছে, কোমাইগাড়ী মৌজার ৬৭২ নং দাগে ৬.৬০ শতাশং ওই জমি ২০০৭ সাল থেকে মোছাঃ সাহানাজ বেগম এর কাছ থেকে দলিল মূলে ক্রয় করেন।এবং পৌর বিধি মোতাবেক জরীপ ও পৌরসভার প্লান পাশ করে বাড়ী ঘর নির্মান করত বসবাস করিতেছে।
পাশের জমি ৫৯৫ দাগে ধানী জমি ৮৩ শতকের মধ্যে ৪২ শতক জমি সরকার বাহাদুরের বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে আরো জানা যায় যে সরকারি ৪২ শতক জমি দখল করে নেওয়ার জন্য জোর তদারকি করছে, এবং দখল করেছে। একই মৌজার কোমাইগাড়ী মন্ডল পাড়া মৃত আবদুল জলিল এর পূত্রগন (০১) মোঃ আলমগীর কবীর (০২) মোঃ আবদুল লতিফ নামে ব্যক্তিদয়। তারা খতিয়ান মতাবেক ওই দাগে ৪১ শতক ধানী জমির মালিক।
রেকর্ড সংশোধনের জন্য নওগাঁ উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেই জমিটি দখলে নেওয়া পায়তারা করছে। সরকারি ওই জমিতে বিভিন্ন সময় বিয়ের অনুষ্ঠান, খেলা ধুলা সহ মানুষ মারা গেলে তার জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রোগ্রাম করতেন এলাকাবাসীরা।
ওই জমিটি মোঃ আলমগীর কবীর দখল করে গাছ লাগিয়েছে প্রতিবেশি আবদুল আজিজ এর স্ত্রী মোরশেদা বেগম নওগাঁ ভূমি অফিস ও নওগাঁ পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ এর মাধ্যমে জানালেও সঠিক কোন সুরাহা হয়নি, বলে দাবী তার।
এবিষয়ে মোরশেদা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির পার্শ্বে জমিটি তাই সেই জমিতে জঙ্গলবন হয়ে গেছে সেখানে আমাদের বসবাস করার বাড়ি প্রায় ২৫ বছর থেকে বসবাস করে আসতেছি সেখানে আমাদের রাস্তা দখল করে জোরপূর্বক ভাবে সরকারি যায়গাতে গাছ লাগায় তাই আমার দাবী সরকারি জমিটি যেন দখর না করা হয়,এর সঠিক সমাধান যেন করা হয়। এ বিষয়ে আলমগীর কবীর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ আহসান হাবিব (রাজন) এর সঙ্গে সরাসরি দেখা করলে সে তারিখ এরপর তারিখ দিয়ে তালবাহানা করিয়া আসিতেছে। এ ব্যাপারে কমিশনার কোন কর্নপাত করেনি।
এবিষয়ে ইউএনও মির্জা ইমাম উদ্দিন সাংবাদিকে বলেন, আমার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন সেটা তদন্ত করা হয়েছে। সঠিক ভাবে সরকার বাহাদুরের সম্পত্তি রক্ষা করা হবে।