পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের ফরাজি বাড়িতে শনিবার বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় এই ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায় পাড়েরহাটের উমেদপুর গ্রামের আনছার উদ্দিন মাতুব্বরের ছোট ছেলে বাশার মাতুব্বর ও তার ভাই আবুবকর মাতুব্বর সহ কয়েকজন মিলে একই গ্রামের সেলিম ফরাজির স্ত্রী মাতোয়ারা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে রাসেলকে (৩০) কে পরিকল্পিত ভাবে আক্রামন করেন এতে রাসেল ও তার মাতোয়ারা বেগম মারাত্মক ভাবে আহত হন।
আহত রাছেলের বোন নাছরিন বেগম (৩০) বলেন আমার ভাই রাসেল গরু ব্যবসায় করেন তিনি ভান্ডারিয়া থেকে গরু বিক্রি করে বাড়িতে আসলে একই গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে বাসার (৩৫) আবুবকর (৪৫), সিরাজউদ্দিন মাতুব্বর এর ছেলে মোক্তার মাতুব্বর (৬৫), ময়নুদ্দিন মাতুব্বর (৬০), ময়নুদ্দিন মাতুব্বর এর স্ত্রী সেলিনা (৪৫) ও তার ছেলে শাহীন (৩৫), রুস্তম মল্লিকের ছেলে ওবায়দুল (৩২), বাসার মাতুব্বর এর স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪৫) ও আবুবকরের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (৪৫) পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমার ভাই রাছেলের উপর লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করে এতে আমার ভাইয়ের মাথা ফেটে যায় আমার মা আমার ভাইকে বাঁচাতে গেলে তার উপরেও আক্রামন করে ও তার হাতের আঙুল ভেঙ্গে দেয়। তিনি আরো বলেন পাশের বাড়ির আবুবকরের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম প্রথমে পিছন দিয়ে আমাদের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে পরে ঘরের ভিতরের থাকা সব কিছু তছনছ করে দেয় ও আমাদের ঘর দুয়ার ভেঙ্গে ফেলে। আমার ভাই রাসেলকে মারতে মারতে তারা রাস্তায় নিয়ে যায় পরে তাকে উদ্বার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই এখন আমার ভাই রাসেল ও আমার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতার বিষয় জানতে চাইলে আহত রাসেল মুঠোফোনে বলেন আমি আর বাশার মাতুব্বর এক সাথে ভাগে গরুর ব্যবসা করতাম। বাশার মাতুব্বর ব্যবসায় মারফত আমার কাছে ৫০০ টাকা পাইতো, আমার কাছে সে টাকা চাইতে আসলে আমি টাকা পরে দিবো বলে তাকে বলি কিন্তু সে আমার মামাতো ভাইয়ের কাছে আমার নামে আজে বাজে কথা বানিয়ে বলে আমি সেই কথা বাশারকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে বাশার আমাকে মারার জন্য দলবল নিয়ে আসে, এই সময় আমাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসি। এরপরে আমি বাড়িতে আসলে বাশার মাতুব্বর তার ভাই আবুবকর মাতুব্বর, মোক্তার মাতুব্বর, ময়নুদ্দিন সহ কয়েকজন আমার বাড়িতে এসে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং আমাকে মারধর করা শুরু করে ও আমার মাথায় বাঁশ দিয়ে বাড়ি দেয় ও আমাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে যায়, এবং আমার সাথে থাকা গরু বিক্রি করার এক লক্ষ সারে বারো হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং তাদের সাথে আসা মহিলারা আমার ঘরের ভিতরে ঢুকে আমার বোনের বিয়ের গহনা নিয়ে যায়। আমি আমার উপর আক্রামন করা বাশার মাতুব্বর সহ তার সাথে থাকা বাকি সকলের বিচার চাই।
প্রতিবেশী মোঃ রুস্তম আলী মল্লিক বলেন আমি বিকেলে বাড়িতে বসে চিৎকারের শব্দ পাই পরে রাস্তায় এসে দেখি বাশার মাতুব্বর সহ কয়েকজন রাসেলকে মারতে মারতে রাসেল এর বাড়ি থেকে বাশার এর বাড়ির দিকে নিয়ে আসছে পরে আবার মারতে মারতে রাসেলের বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এসম রাসেল রক্তাক্ত ছিলো পরে আমরা রাসেলকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত বাশারের মা সালেয়া খাতুন (৬৫) বলেন আমার ছেলে বাশার সহ কেউ রাসেলের বাড়িতে গিয়ে রাসেলকে মারধর করেনি, শুনেছি ভান্ডারিয়া বসে ব্যবসায় টাকা নিয়ে আমার ছেলে বাশারের সাথে রাসেলের কথা-কাটাকাটি হয়েছে সেই বিষয় জানতে চাইলে উল্টো রাসেলের পরিবার আমার ছেলের উপর আক্রামন করে এতে আমার ছেলে আহত হয়। এবং আমার ছেলের কাছে গরু বিক্রি করা ছাপ্পান্ন হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় রাসেলের পরিবার। বাশারের বেপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে ও আমার পরিবারের বাকি সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছ। হাসপাতালে বসেও রাসেলের পরিবারের লোকজন আমার ছেলে বাশারের উপর আক্রামন করে। তিরি আরো বলেন আমাদের উপর রাসেলের পরিবারের আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিতেছে।
এই ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এরকম ঘটনার বিষয় আমার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।