বরিশালের মুলাদীতে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে আহত করে নগদ ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের খাসেরহাট কাঠেরপুল এলাকায় হজ¦ এজেন্সি এবং বিকাশ ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মুফতি নূরুল আমিন ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জেরধরে মুলাদী সদর ইউনিয়নের দড়িচর নয়ঘর গ্রামের ফরিদ মল্লিকের ছেলে শাখাওয়াত মল্লিক ও এনায়েত মল্লিকের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত মুফতি নূরুল আমিন। মুফতি নূরুল আমিন জানান, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুলাদী ইসলামি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় তার কাছে প্যাদারহাট ও খাসেরহাট বন্দর ইসলামি ব্যাংকিং এজেন্সির ১০ লাখ, ওমরা হজে¦র ২০ লাখ, বিকাশের ৪ লাখ, স্ট্যাম্প ক্রয়ের ১ লাখ নগদ টাকা ছিলো। এ ছাড়া ইসলামি ব্যাংকের ১৫ লাখ এবং জনতা ব্যাংকের ১৫লাখ টাকার চেক ছিলো। তিনি খাসেরহাট কাঠেরপুল এলাকার কার্লভাটের কাছে পৌঁছলে শাখাওয়াত মল্লিকের নেতৃত্বে ৭/৮জনু দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার রড ও রামদা দিয়ে পিটিয়ে নূরুল আমিনের ২টি চেকসহ ৩৫ লাখ টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। মুফতি নূরুল আমিন আরও জানান, হামলাকারীরা চেক ও টাকার ব্যাগ নেওয়ার পরে আমি মোটরসাইকেল যোগে মুলাদী থানায় যাচ্ছিলাম। বিষয়টি বুুঝতে পেরে দুর্বৃত্তরা আমার পিছু ধাওয়া করে এবং কাজিরহাট এলাকায় এসে পুনঃরায় হামলা চালায়। ওই সময় পিটিয়ে আমার ডান হাত ভেঙে দেয় এবং বিষয়টি নিয়ে মামলা করলে হত্যার হুমকি দেয়। আহত মুফতি নূরুল আমিনের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় মুফতি নূরুল আমিনের বোন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে শাখাওয়াত মল্লিক, এনায়েত মল্লিকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।