মুলাদীতে জমি বিরোধের জেরধরে পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর (রেইন্ট্রিতলা) এলাকার এসকান্দার ফকিরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তসত্ত্বা নারীসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। ভাই-বোনেরা পিতাকে ফুসলিয়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এসকান্দার ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির ও তার লোকজন ভাই-ভাবীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন জুয়েল ফকির।
জানা গেছে, এসকান্দার ফকিরের ২ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। প্রায় ১০ মাস আগে এসকান্দার ফকির সোহেল ফকিরকে বাদ দিয়ে জুয়েল ফকিরকে ৮ শতাংশ এবং মেয়ে শাহীনুরকে আড়াই শতাংশ, সুমীকে দের শতাংশ জমি লিখে দেয়। এতে সোহেল ফকির ক্ষিপ্ত হন এবং পিতাকে ফুসলিয়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। গত ৬ জুলাই সোহেল ফকির বাদী হয়ে ভাই বোন ও ভগ্নিপতিসহ ৫জনের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে মামলা করেন। সোমবার মুলাদী থানার এসআই (২য় কর্মকর্তা) মো. কাইউম হোসেন ওই মামলার তদন্তে যান। বিকেল ৪টার দিকে এসআই কাইউমের উপস্থিতিতে সোহেল ফকিরের সাথে ভাই- বোনদের কথার কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সোহেল ফকির ও তার লোকজন হামলা চালায়। এতে জুয়েল ফকিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহিদা বেগম, বোন সুমী আক্তার, ভাগ্নি স্কুল ছাত্রী আনিকাসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে বিকেলেই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় জুয়েল ফকির বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার এসআই কাইউম হোসেন হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলাকালে মহিলাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেনি।