বরগুনার পাথরঘাটায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিবালোকেমই জ্বলছে পৌরসভার ল্যামপোষ্টের বাতি।
পাথরঘাটা পৌরসভার কতৃপক্ষের দাবী,বর্ষাকালে বৃষ্টিজনিত সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ হবার কারণে বাতিগুলো জ্বলছে।
দুপুর দুইটারদিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের সব কয়টি সড়ক ঘুরে একই চিত্র দেখা যায় প্রতিটি ল্যামপোস্টেই জ্বলছে সাদা বাতি।
জানা যায় রাতের বেলা জ্বলে থাকা এই বাতিগুলো দুপুর গড়ালেও কেহ বন্ধ করেনি। জ্বালানি সাশ্রয়কে কেন্দ্র করে একদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দেয়া হয়েছে লোডশেডিং। অন্যদিকে মাঝ রাতেও পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় আলোর ঝলকানি। এতে বাদ যায়নি সরকারি ভবন ও তাদের লাইটিং সাইনবোর্ড সহ বেসরকারি ব্যাংক, বীমা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। এমনকি রাতে চলাচলের সুবিধা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহৃত ল্যাম্পপোষ্টে সকাল গড়িয়ে দুপুরেও জ্বলছে বাতি।
অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিংয়ে সারাদেশের মানুষের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। এদিকে বরগুনা জেলা লোডশেডিং এর আওতা মুক্ত থাকলেও তা শুধুমাত্র কাগজে-কলমেই। যখন খুশি তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। স্থানী সলেমান জানান, যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ইস্যুতে সরকার অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিং দিচ্ছে, সেসময় জনগনের ট্যাক্সের টাকার এমন অপচয় মেনে নেয়া যায় না।
পাথরঘাটা পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত মোঃ ফরিদ মিয়া জানান, পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের সাথে পৌর শহরের রোড লাইনের সংযোগ মিলে যাওয়ায় লাইনের সুইচ অফ করেও লাইট বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ের স্থায়ী সমাধানে পল্লী বিদ্যুৎ এবং পৌরসভার কাজ করছে।
পাথরঘাটা লোডশেডিংয়ের আওতার বাহিরে থাকলেও একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণ জানতে চাইলে পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইন ম্যান মোহাম্মদ হাসান জানান, যেহেতু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন রয়েছে। সে কারণে কোথাও লাইনে সমস্যা হলে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হয়। এছাড়াও ৩২ কেবি লাইনে সমস্যার কারণে বিভিন্ন সময় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আবদুস সালাম জানান, বর্তমানে জ্বালানির সাশ্রয় করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। দেশের স্বার্থে এবং নিজের স্বার্থেই সবাইকে সচেতন হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার না করতে পরামর্শ দিয়েছেন।