“বাল্যবিয়ের কুফল ॥ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে একযুগ শিকলবন্দী” শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করনে গত ২৫ জুলাই এবং জনকণ্ঠের ডিজিটাল প্লাটফরমে গত ২৪ জুলাই “বরিশালে একযুগ ধরে শিকলবন্দী গৃহবধূ রুমা” শিরোনামে ভিডিও সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর শিকলবন্দী হয়ে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গোনা গৃহবধূ রুমা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মঙ্গবার দুপুরে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সুশান্ত বালা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা রুমা বেগমের বাবার বাড়িতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। কর্মকর্তারা রুমা বেগমের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে মহাখুশি রুমা বেগমের স্বজন, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।
মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের দিনমজুর মজিবর হাওলাদারের মেয়ে। গৌরনদী উপজেলার বাঘমারা গ্রামের সেলিম হাওলাদারের সাথে ১৪ বছরের কিশোরী রুমার বিয়ে হয়েছিলো। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রথম সন্তান জন্মগ্রহনের পর মারা যায়। এরপর দ্বিতীয় সন্তান জন্মগ্রহনের পর থেকে রুমা অস্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করেন। একপর্যায়ে রুমা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। পরবর্তীতে স্বামী সেলিম হাওলাদার রুমাকে ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে সুস্থ করতে না পেরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে বাবার বাড়িতে একটানা ১২ বছর যাবত শিকলবন্দী অবস্থায় রয়েছেন রুমা বেগম।