বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন ছাদিয়া আক্তার নামে কাতার প্রবাসীর স্ত্রী। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে ৭দিন ধরে উপজেলার শৈলদাহ গ্রামের বেদার শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখের বাড়ীতে ছাদিয়া আক্তারের এ অনাশন চলছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক সাদ্দামওতার পরিবারের লোকজন বসতঘরে তালা লাগিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
পরকীয় প্রেমের জের ধরে প্রবাসী স্বামীর স্বর্ণসহ ৫লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রেমিক ছাদ্দাম বলে অনাশনকৃত ছাদিয়া অক্তারের দাবী। একই সাথে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকরায় প্রেমিক সাদ্দাম শেখের বাড়ীতে ছাদিয়ার এই অনাশন বলে জানিয়েছেন।
ছাদিয়া উপজেলার হিজলা গ্রামের অধিবাসী। তিনি দুই সন্তানের জননী। মোবাইল ফোনে প্রেম, প্রেম থেকে দৈহিক মেলা মেশা- ইত্যাদি। বখাটে সাদ্দামের ৫লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের সু-কৌশলতো আছেই : একই সাতে একজন গৃহবধুকে ফুঁসলিয়ে তার সংসার ভাঙ্গা এবং নিলজ্জ কর্মকান্ডের ঘটনাটি গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ছাদিয়া সাংবাদিকদের জানান, সাদ্দাম তাকে বিয়ে করার প্রলোভনে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। রাত-বিরাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তার সাথে সময় কাটিয়েছেন কিন্তু তাকে রেজিস্ট্রী বিয়ে করেননি। তিন বছর প্রবাস কাটিয়ে ইতোমধ্যে কাতার থেকে তার স্বামী বাড়ীতে আসেন। এ সময় ছাদিয়া প্রেমিক সাদ্দামকে তার সংসার যাতে না ভাঙ্গতে সে ব্যপারে অনুরোধ করেন। এবং তাকে ফোন দিতে নিষেধ করে দেন। কিন্তু সাদ্দাম তার কথা কর্নপাত না করে রাত বিরাত সাদিয়কে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে থাকে। অব শেষে ছাদিয়া ফোন বন্ধ রাখেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দাম ছাদিয়ার প্রবাসী স্বামীর ফোন নম্বর জোগাড় করে তাকে জানিয়ে দেয় যে, ছাদিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ছাদিয়ার পেটে বাচ্চা আছে।
এসময় সাদ্দামের ফোনটি পেয়ে ছাদিয়াকে তার স্বামী মারধর করে এবং তালাক দিয়ে দেয়।বর্তমান ছাদিয়া বিয়ের দাবি নিয়ে সাদ্দামের বাড়ীতে অনাশন করছেন। তিনি আরো জানান, ঘরে তালা ঝুলিয়ে সাদ্দামও তার পরিবার পালিয়েছেন। তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ছাদিয়া প্রশাসনের প্রতি প্রতারক সাদ্দামের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এব্যপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী আফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, বিষটি তিনি জেনেছেন।এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।