রাজশাহীর বাঘায় কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর অনশন ভাঙ্গাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় খবর লেখা পর্যন্ত সে কিশোরের বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে। সে বিয়ের দাবিতে কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর সে পালিয়েছে। উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নে কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে ৩১ ঘণ্টা যাবত অনশনে বসে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জননীর (২৪) সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কিশোরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিকা। কিন্তু কিশোর প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসে। প্রেমিকা বাড়িতে আসার পর পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩টায় খবর লিখা পর্যন্ত কিশোরের বাড়িতে বসে ছিল প্রেমিকা। প্রেমিকার দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে। একটির বয়স ৬ বছর আরেকটির বয়স আড়াই বছর।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে প্রেমিকা এ প্রতিবেদককে জানান, রোজার ঈদের আগে থেকে কিশোরর সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু হয়। তারপর থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিশোর বিয়ে করবে এবং মেয়ের দায়িত্ব নিবে বলে কয়েক বার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসে অনশন করছি। সে বিয়ে না করা পর্যন্ত যাব না। তার স্বামী আর ঘরে নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আমি এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর সেখানে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ছেলের বাড়ির লোকদের জিম্মায় আছে। ছেলেকে হাজির করতে বলা হয়েছে। ছেলে আসলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করা হয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত তার বাড়িতে আছে মেয়েটি। ছেলে এগিয়ে না আসায় কোন ব্যবস্থা করা যাচ্ছেনা। ছেলে এগিয়ে আসলে তার অনশন ভাঙ্গানো সম্ভব হবে বলে মেম্বার জানান। বর্তশানে অনশনরত অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এটি একটি পারিবারিক ব্যাপার। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।