গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে এক গৃহবধূ (৩০) কে (আকলিমা আক্তার আঁখি) ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বখাটে (২২) আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে। আরাফাত উত্তর সাহাবাজ গ্রামের অধ্যক্ষ ইমান আলীর ছেলে। অভিযোগকারি ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ওই রাতেই গৃহবধূ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উধাও হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, ভয়ভীতি ও হুমকির মুখে তাকে ‘উধাও’ করে অভিযুক্তরা। তাদের দাবী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এ ব্যাপারে কোন ছাড়পত্রও নেওয়া হয় নি।
অভিযোগসূত্রে ও গৃহবধুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে আরাফাত ওই গৃহবধূকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আরাফাত গৃহবধূকে তার বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে বেদম মারপিট করে। স্থানীয়রা ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করায় এবং থানায় ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেয়। প্রভাবশালী আরাফাতের লোকজন রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূকে ‘উধাও’ করে। গৃহবধূর পরিবারের লোকজন জানান, রাতে প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে তাকে ‘উধাও’ করে, ছাইতনতলার একটি স্থানে অভিযোগ প্রত্যাহারের পাল্টা আবেদনে সই স্বাক্ষর নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
ওই গৃহবধূ মোবাইল ফোনে জানান, তার কাছ থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি তার অভিযোগ প্রত্যাহার করেননি। এ ছাড়া তার স্বাক্ষর নেওয়া কাগজে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে প্ররোচনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে অভিযোগ প্রত্যারের জন্য তিনি থানায় যান নি। তিনি এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
এ ব্যাপারে আরাফাতের রড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী আল হাসান রাসেল জানান, ওই গৃহবধূর সাথে তার ভাইয়ের ভুল বোঝার বিষয়টি মীমাংসা করে অভিযোগ প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ‘উধাও’ করার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
ওই ঘটনার তদন্তকারী বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসি শফিকুজ্জামান জানান, তিনি তদন্তে সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন জানিয়ে থানাকে অবহিত করেছেন।
্এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক এম এ আজিজ জানান, অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমানিত হলে মামলা রুজু করা হবে।