সরকার হঠাতে ‘এক দফা’ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আহ্বায়ন জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। আজ রোববার বিকেলে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এই আহ্বায়ন জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ দেশের সকল খাত আজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে চরম সংকট, জ্বালানি মজুত তলানিতে ঠেকেছে, ডলারের মজুতও শেষ হয়ে যাচ্ছে তারপরেও আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপাবাজি ও ফাঁপড়বাজী এখনও বন্ধ হয়নি। তাঁরা বলছে দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। বাস্তবতা হলো দেশ আজকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পথে হাটছে।
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার কারও সুবুদ্ধি শুনবে না। ভালো কথায় আর কাজ হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করা না গেলে দেশের জনগণের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে যাবে। আপনারা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। শীঘ্রই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক আসছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে সেই আন্দোলনে শামিল হয়ে সরকারের পতন তরান্বিত করতে হবে।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু, সাবেক সাংসদ ডা. ছালেক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুর হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, আমিনুল হক বেলাল, মামুনুর রহমান রিপণ, শফিউল আজম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সীমা চৌধুরী, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান মো. ফারুক, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম গোল্ডেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।