বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার বনমালী-পরমেশ্বর ( বি,পি ) উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মুক্তা রাণী তার অদম্য পরিশ্রম, মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে অর্জন করছেন একের পর এক সম্মাননা ও খ্যাতি। যার মাধ্যমে গর্বিত করছেন তার কর্মস্থলকে, আদমদীঘি উপজেলাকে এবং সর্বোপরি বগুড়া জেলাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সান্তাহার বনমালী-পরমেশ্বর বি, পি, উচ্চবিদ্যালয় বগুড়া জেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইৎরঃরংয ঈড়ঁহপরষ এর ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝপযড়ড়ষ অধিৎফ (ওঝঅ) ২০২০-২০২২ অর্জন করে। এই অর্জনের জন্য কাজ করতে হয়েছে ভারত, পাকিস্তান, মরোক্কো, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে। যার ফলে ভারি হয়েছে অভিজ্ঞতার পাল্লা। বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে সান্তাহার বি,পি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দ পেয়েছে, তেমনি অর্জন করেছে দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
জানা যায়, ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০০০ এরও অধিক স্বীকৃতি সাম্মাননা দিয়েছে ইৎরঃরংয ঈড়ঁহপরষ। প্রতি তিন বছর পর এর এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ও সাম্মাননা দেয় ইৎরঃরংয ঈড়ঁহপরষ। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ‘ঈড়হহবপঃরহম ঈষধংংৎড়ড়সং’ প্রোগ্রামের আওতায় দেশের ১৬৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই পুরষ্কার দেয়া হয়। ২০১২ সাল ৫০০০ এর অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইৎরঃরংয ঈড়ঁহপরষ, ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝপযড়ড়ষ অধিৎফ (ওঝঅ)।
এ বিষয়ে মুক্তা রাণী বলেন, এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করার সময় সাহায্য করেছেন আমার সহকর্মী বৃন্দ। সব সময় পাশে ছিলেন আমাদের প্রধান শিক্ষক এবং আমি কাজ করেছি ঝপযড়ড়ষ ঈড়-ড়ৎফরহধঃড়ৎ হিসেবে। কুমিল্লার মিজান স্যার, আপন স্যার, বগুড়ার বুলবুল স্যার সহ আরও অনেক শুভাকাক্সক্ষী আছেন যাদের সহযোগিতা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব ছিল না। কৃতজ্ঞতা জানাই সকলের প্রতি। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানকে যেন আরও ভালো কিছু দিতে পারি সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি।
কেভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এ বছর কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি ব্রিটিশ কাউন্সিল। এজন্য কুরিয়ার মাধ্যমে পুরষ্কার পাঠিয়েছে তারা। পুরষ্কার গ্রহণের সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক এমপি ও গভর্নর আলহাজ¦ কছিম উদ্দীন আহমেদ। সান্তাহার বি,পি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার সাহা।
সান্তাহার বনমালী-পরমেশ্বর (বি.পি.) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার সাহা বলেন, আমার বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক আন্তজার্তিক যেই পুরস্কার পেয়েছে তা শুধু আনন্দের বিষয় নয় আমাদের সকলের গর্বের বিষয়। জেলার মধ্যে আমার বিদ্যালয় শুধু মাত্র এই পুরস্কার পেয়েছে। এইজন্য আমরা খুবই আনন্দিত।