উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এতে করে তিস্তার তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরে বসবাস করা প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে চরে আবাদ করা আমন ধান, পাটসহ বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের পাহাড়ী ঢলের কারণে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত নোহালী, কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের উজানের বিভিন্ন স্থানে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের শংঙ্কা রয়েছে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সেই সাথে আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর অববাহিকাভূক্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। নদী ভাঙ্গন রোধে আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে।