ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ জমিতে আমন জাতের ধানের চাষ হত। বাকি সময় চাষযোগ্য জমি পতিত থাকত। চলতি বছর বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগে ‘উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ মাটির লবনাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন’ কর্মসূচির আওতায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার যোগেশ্বর গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার এর জমিতে ৩০ বিঘা জমিতে স্থাপনা করা একটি ব্লক পরিদর্শন করা হয়। গতকাল দুপুরে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়।
সেচ ও ধান গবেষনা বিভাগের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. দেবজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতানা আফরোজ, ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মসূচি পরিচালক ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. প্রিয় লাল চন্দ্র পাল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ১২০ জন কৃষক-কৃষাণী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঐশিক দেবনাথ।
কৃষকরা জানান ব্রী ৪৮ ধান চাষ করে এ বছর লাভবান হবেন। ইতিমধ্যেই মাত্র ১০৫ দিন সময়ের মধ্যে এই জাতের ফলন ৩৩ শতাংশ জমিতে ২১ মন ধান পাওয়া গেছে। আগামীতে এই জাতের ধান চাষ করে অল্প জমিতে কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।